পাওয়ার গ্রিডের প্রাক্তন উপব্যবস্থাপকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকা: দুদকের দায়ের করা নন-সাবমিশন (সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা) মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রাক্তন উপব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) মো. আরশাদ হোসেনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ মো. আতাউর রহমান এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরশাদ হোসেনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ১১ জুনের মধ্যে এ জরিমানার টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানা জমা দিতে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রপক্ষ ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮৪ ধারা বিধানের আলোকে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত, মো. আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের উপপরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। তিনি অনুসন্ধান শেষে আসামির বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর দুদক আসামিকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ করে। ২০১০ সালের ২ মে দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীর স্বাক্ষরে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়। ৪ মে আসামি নিজে স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ গ্রহণ করেন। ১১ মে আসামি সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরো সাত দিন সময় চেয়ে কমিশনে আবেদন করেন। কমিশন তার আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরো সাত কার্য দিবস সময় দেওয়া হয়। ২৩ মে বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৮ জুন কমিশন আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর অনুমোদন দেয়। ২৯ জুন রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে এ মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন আসামিপক্ষ। ২০১১ সালের ১ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।