‘জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের বিধান নেই’

কুড়িগ্রাম: নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের কোনো বিধান নেই। বলা আছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলতে বুঝায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি। সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা বাহিনী। সুতরাং নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে একদিক মুক্তিযুদ্ধের শক্তি অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। আমি বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকেই জনগণ বিজয়ী করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০ দলীয় জোট যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচন এক ধরনের হবে। আর ২০ দলীয় জোট যদি নির্বাচনে না আসে সেক্ষেত্রে হয়ত ভিন্ন নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে যে যার মতো অংশ গ্রহণ করতে পারে। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তে হবে।’

শাজাহান খান শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট স্থলবন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে নদী খনন ও চিলমারী বন্দর চালু করা হবে।’

সোনাহাট স্থলবন্দরে ১০টি ভারতীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি ভারতের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চালু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামো উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সেখানেই স্থানীয় সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, শিল্পপতি দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরে চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দরের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। পরে ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর ৬০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি ওয়ার হাউজ, ৯৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের পার্কিং ইয়ার্ড, ৮৫ হাজার বর্গফুল আয়তনের ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন, সিকিউরিটি ব্যারাক, ডরমেটরি ভবনসহ অন্যান্য অব কাঠামো নির্মাণে মোট ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের এলসি স্টেশন গোলকগঞ্জ, ধুবরী, আসাম থেকে ১০টি পণ্য চুক্তিভিত্তিক আমদানি হয়ে আসছে।