চিত্রনায়িকা সাদিয়া রিমান্ডে

sadia afrinবিনোদন ডেস্ক: সিনেমা বানানোর কথা বলে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎকারী চিত্রনায়িকা সাদিয়া আফরিনকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনিসুর রহমান জানান, গত বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এ আদেশ দেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চিত্রনায়িকা সাদিয়া আফরিনকে ও তার স্বামী বিদ্যুৎ কুমার ওরফে সৌরভকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অপরদিকে সাদিয়া ও তার স্বামীর পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক চিত্রনায়িকা সাদিয়াকে একদিনের রিমান্ড ও স্বামীকে রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সাদিয়াকে এবং মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানা এলাকা থেকে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শারমিন জাহান (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া সেল)।

শারমিন জাহান বলেন, মিজানুর রহমান খাঁন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে সাদিয়ার পরিচয় হয় ২০১৩ সালে। পরিচয়ের সূত্রে সাদিয়া বলে যে, ‘আমার স্বামী বিদ্যুৎ কুমার সাহা ওরফে সৌরভ সিনেমা প্রযোজনা করেন এবং মিজানুর রহমানকে বলে যে, আমাদের নির্মিত ছবিতে বিনিয়োগ করলে ব্যাপক লাভবান হবেন।’

সহকারী পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘বিশ্বস্ততা ও সিনেমার নানান লাভ দেখিয়ে সাদিয়া ও তার স্বামী তাদের কাছে মিজানুর রহমানকে তিন কোটি টাকা সিনেমায় বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মিজানুর রহমান পর্যায়ক্রমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা তাদের প্রদান করে। বেশ কিছুদিন পার হয়ে যাওয়ার পর তাদের বারবার তাগাদা দিলেও সিনেমা না বানিয়ে টালবাহানা শুরু করেন সাদিয়া। এরপর টাকা ফেরত চাইলে সাদয়িা সাফ জানিয়ে দেন, তিনি টাকা দিতে পারবেন না।’

এর পর মিজানুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলাটি সিআইডি গ্রহণ করার পর বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহর তত্ত্বাবধানে সিআইডি অর্গানাইজড ক্রাইমের (সিরিয়াসক্রাইম স্কোয়াড)একটি বিশেষ দল সাদিয়া ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গত ২১ মে রাজধানীর মিরপুর থানায় মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের পর গত ১২ জুন কথিত এই নায়িকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাদিয়া আফরিনের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তবে ‘ক্রাইম রোড’ ও ‘শোধ-প্রতিশোধ’ নামের দুটি সিনেমার কাজের পাশাপাশি একটি সিনেমার আইটেম গানেও পারফর্ম করেছেন তিনি।