বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দার অভিনেতা হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয় সিয়াম আহমেদ। বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে তরুণ প্রজন্মের মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। আগামীকাল ঈদের ছবিতে সিনেমার নায়ক হিসেবে রাজকীয় অভিষেক হচ্ছে তার। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘পোড়ামন-২’ সিনেমায় দিয়ে বড় পর্দায় আসছেন তিনি। এখানে সিয়ামের নায়িকা পূজা চেরি। পূজা আগেও সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তবে সিয়াম এবারই প্রথম।
সাম্প্রতিক সময়ে ঈদের নিয়মিত দৃশ্য হচ্ছে শাকিবের একক রাজত্ব। এবারও ঢাকাই সিনেমার নাম্বার ওয়ান হিরো শাকিব খান অভিনীত দুটি সিনেমা মুক্তি পাবে। তার একটি ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া ও নোয়াখাইল্লা মাইয়া’। এই ছবিতে শাকিবের নায়িকা বুবলী। শাকিব অভিনীত ‘পাংকু’ জামাই’ ছবিটিও মুক্তি পাবে যেখানে তার নায়িকা অপু বিশ্বাস। বড় নায়কের দুটি ছবির বিপরীতে সিয়াম কী নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন? এই আলোচনা এখন সর্বত্র।
প্রথম ছবিই ঈদের মতো বড় একটি উৎসবে মুক্তি পাচ্ছে, এ দিক থেকে সিয়ামকে ভাগ্যবানই বলতে হয়। আবার প্রথম ছবিতেই তাকে টেক্কা দিতে হচ্ছে ঢালিউড সুপার স্টার শাকিবের সঙ্গে এটা তার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জও। চলছে তাই চুলছেড়া বিশ্লেষণ।
প্রচারণা, ‘পোড়ামন-২’ ছবির টিজার, ট্রেলার ও গান প্রকাশের পর থেকে আলোচনায় রয়েছেন সিয়াম। তাকে চলচ্চিত্রের দারুণ সম্ভাবনাময় নায়ক হিসেবে দেখছেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা। সিয়াম শিক্ষিত, সুদর্শন, ভালো নাচেন। আর অভিনয়ে তিনি অনেক আগে থেকেই প্রশংসিত। তাই অনেকেই বাজি ধরছেন সিয়ামের জন্য। কেউ কেউ বলছেন, ঈদের সেরা ছবি হবে ‘পোড়ামন-২’, ব্যবসায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে। আর হলে এই ছবির দর্শক টানতে তুরুপের তাস হবেন সিয়াম।
চারদিকে এই যখন ভাবনা সিয়াম তখন কী ভাবছেন? সিয়ামের জবাব, ‘এটা বলা মুশকিল। আমি একটা ভালো সুযোগ পেয়েছি আর চেষ্টা করেছি নিজেকে উজার করে দেয়ার। কারো সঙ্গে তুলনায় যাবো না, প্রতিযোগিতাও না। আমি চাই ঈদের সব সিনেমাই ব্যবসা করুক। কারণ সিনেমার ব্যবসাই এখন ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র সাফল্য হতে পারে। আমি একজন নবাগত হিসেবে সবার দোয়া ও শুভকামনা চাই।’
সম্ভাবনাময়ী আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও চলছে সিয়ামকে নিয়ে। অনেকের দাবি, অনেক সময় গল্প-প্রচারের কারণে সিনেমা জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু সিনেমার নায়ক-নায়িকা থাকেন আড়ালে। ভালো উদাহরণ হতে পারে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। ‘পোড়ামন২’ সেই পথে হাঁটতে পারে। সিয়াম হয়তো নিজেকে খুব একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন না।
এর কারণ হিসেবে তারা দাবি করছেন, সিয়াম বড় পর্দার নায়কদের মতো রিজার্ভ নন। তিনি যত্রতত্র নিজেকে উপস্থাপন করেন। টিভি মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন, উপস্থাপনায় নিয়মিত দেখা মেলে সিয়ামের। চাইলেই যাকে হাতের মুঠোয় পাওয়া যায় তাকে টাকা খরচ করে হলে গিয়ে কেন দেখবেন দর্শক?
তবে ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলা একেবারেই ঠিক নয়। আমরা আশা-নিরাশার অংকটাই কেবল কষতে পারি। আর সেই অংকের ফলটা যেন সিয়াম আহমেদের জন্য সাফল্যের হয় সেই প্রত্যাশা করি। কেননা, শিল্পী সংকটের এই সময়ে সিয়ামের মতো পরিশ্রমী, মেধাবী, রুচিশীল নায়কের সংযোজন ঢাকাই সিনেমাকে সমৃদ্ধ করবে তাতে সন্দেহ নেই।
তাই, ‘পোড়ামন-২’ দিয়েই যেন সিয়ামকে নিয়ে তৃপ্তি-অতৃপ্তির ইতি না ঘটে। তার হাতে ‘দহন’, ‘ফাগুন হাওয়া’র মতো আরও দুটি চলচ্চিত্র রয়েছে। সেগুলোর মুক্তিও বদলে দিতে পারে ইন্ডাস্ট্রি। সিয়াম হয়ে উঠতে পারেন আগামী দিনের ঢালিউড সম্রাট।