কোটা সংস্কারের দাবি জামায়াত-শিবিরের: শাজাহান খান

shahajan khanডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী তো কোটা বাতিলের কথা বলে দিয়েছেন। সাধারণ ছাত্ররাও তা মেনে নিয়েছে। তাহলে আবার ছাত্ররা রাস্তায় নামল কেন?

এ প্রশ্ন করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের চাকরি না দেওয়ার দাবি ওঠায় এখন আবার রাস্তায় নেমেছে কোটাবিরোধীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামিয়েছে জামায়াত-শিবির।’

রোববার সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে এসব কথা বলেন শাজাহান খান।

শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে শাজাহান খান বলেন, ‘২০০৪ সালে প্রথম কোটা সংস্কারের দাবি তুলেছিল জামায়াত-শিবির। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্যই কোটা সংস্কারের আন্দোলন।’

শাজাহান খান আরও বলেন, ‘শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নয়, রাজাকার-আলবদরসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন; আমরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নির্মূল করতে সাম্প্রতিক বাস্তবতার ভিত্তিতে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। জামাত-শিবির ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং তাদের সন্তান ও উত্তরসূরিদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেওয়ার দাবি জানানো হয় ৬ দফায়।’

নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার অবৈধভাবে চাকরি দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অসংখ্য স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জামায়াত-শিবির ও রাজাকারের সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা এখন চক্রান্ত চালাচ্ছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, দেশের সব উন্নয়নের বিরুদ্ধে। তাই দেশের অব্যাহত উন্নয়ন এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার স্বার্থেই আমরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করছি।’

নৌপরিবহনমন্ত্রী ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে জামায়াত-শিবির, রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধীদের এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল বিএনপির হিংস্র থাবা থেকে দেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতাকামী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ওসমান আলী, এ বি এম সুলতান আহমেদ, আলাউদ্দিন মিয়া, আসাদুজ্জামান দুর্জয়, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিরোধ করার জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সিলেটের উদ্দেশে জনতার অভিযাত্রা করবেন তাঁরা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিনিধি সভা ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।