রাবিতে আবারো কোটা আন্দোলনকারীকে মারধর করলো ছাত্রলীগ

ru newsরাবি প্রতিনিধি: কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় আবারো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

তবে ছাত্রলীগের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি ও শিবির সন্দেহে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর ও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জসিম উদ্দীন বিজয় আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতীয় কবিতা মঞ্চ, রাজশাহীর পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ডেকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সন্দেহে ৬ শিক্ষার্থীকে সিনেট ভবনে আটক করে নিয়ে যায় নেতাকর্মীরা। তাদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে ৫ শিক্ষার্থীকে চড় থাপ্পড় মেরে ছেড়ে দেয়।

এসময় ভুক্তভোগী জসিম উদ্দীনের ফেইসবুকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে পোস্ট দেখতে পায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানাতে বুধবার আরবী বিভাগের ৩য় বর্ষের নির্ধারিত ইনকোর্স পরীক্ষা বর্জনের স্ট্যাটাস দেয় জসিম। এই স্ট্যাটাস দেখে তাকে পরীক্ষা দেবে না কেন জানতে চেয়ে তাকে শাসায় ও হুমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

একপর্যায়ে জসীমকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সিনেট ভবনের ভেতরে নিয়ে যায় এবং সেখানে গান গাইতে গাইতে ও হাতে তালি দিতে দিতে তাকে মারধর করা হয়। পরে তাকে শিবির সন্দেহে প্রক্টর ও পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জসীমের একাধিক সহপাঠী মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা জানান প্রচন্ড মারধরের কারণে জসীমের মুখ ফুলে গেছে।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জসীম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেছে। আমরা তাকে পুলিশ ও প্রক্টরের হাতে তুলে দিয়েছি। যারা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করবে তাদের বিষয়ে কোন ছাড় হবে না। জসীমের শিবির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করেন ফয়সাল আহমেদ রুনু।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে পুলিশের কাছে দিয়েছে।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, জসীমকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।