‘সময় খুব কম, শারীরিক-মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে’

moudud ahamedঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘এখন সময় খুব কম। আর মাত্র আড়াই মাস সময় আছে। এ অল্প সময়ের মাঝে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে শারীরিক ও মানসিকভাবে। এবার ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হতে দেব না। বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া আদর্শ একাডেমি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মওদুদ এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এবার সরকারকে আগের মতো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। সরকার যদি বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চায় তাহলে সেটি প্রতিহত করা হবে। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।’

সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনা মোতায়েন করতে হতে হবে। ২০১৪ সালের মতো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’

বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘আপনারা প্রস্তুতি নিন, আর যে আড়াই মাস সময় আছে তার মধ্যে নিজেদের তৈরি করতে হবে সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে। আমরা সঠিক সময়ে কর্মসূচি দেওয়া। এখন কর্মসূচি দিলাম সেটি সফল না হয় তাহলে লাভ কি হবে? দেখেন না এখনো সব কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তাই সময় মতো আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সে জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে সরকারে অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সময় মতো ডাক আসবে।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘শুধু বিএনপি বা বিরোধী দল নয় আওয়ামী লীগের যারা বুদ্ধিজীবী আছেন তারাও স্বীকার করবেন, আজ যে সংকট তৈরি হয়েছে, অতীতে তা আর কখনো হয়নি। আজ আমাদের বাংলাদেশ অনেক পেছনে চলে গেছে। আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো অনুপস্থিত। আমাদের সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ এ স্বাধীনতার জন্য আমরা ২৬ বছর পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি।’

কোটা আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন কোটা থাকবে না। এখন আবার সেই প্রধানমন্ত্রীই সংসদে বললেন হাইকোর্টের রায় আছে, তাই মুক্তিযুদ্ধ কোটা বাতিল হবে না। যদি আদালতের রায় থাকে, তাহলে সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের উচিত আইন সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা রক্ষা করা। কাজটি আসলে এপ্রিলের পরেই করা দরকার ছিল সরকারের।’

প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া।