বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা ছিলেন দিলদার। অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই অভিনেতা আজ থেকে ১৫ বছর আগে ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তার চলে যাওয়ার ১৫তম বার্ষিকী শুক্রবার (১৩ জুলাই)।
দিলদার চলে গেছেন, কিন্তু তার জায়গাটি এখনো কেউ পূরণ করতে পারেনি। দিলদারের মৃত্যুর পর অনেকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পেলেও জনপ্রিয়তায় দিলদারের ধারের কাছেও ঘেঁষতে পারেননি কেউ।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দিলদার সিনেমায় সবচেয়ে বেশি জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নাসরিনের সঙ্গে। পর্দায় তাদের উপস্থিতি দর্শকদের ভিন্নমাত্রার আনন্দের খোরাক যোগাতো। নব্বইয়ের দর্শকে দিলদার-নাসরিনকে ছাড়া সিনেমা যেনো জমতোই না!
তবে দিলদারের প্রয়াণের পর সিনেমায় নাসরিনের আগের মতো উপস্থিতি নেই। স্বামী-সন্তান-সংসার নিয়ে এখন তার ব্যস্ততা। কিন্তু এরমাঝেও শ্রদ্ধাভরে দিলদারকে স্মরণ করেন প্রায় ৬শ’ সিনেমার অভিনেত্রী নাসরিন। দিলদারের সঙ্গে কাজের স্মৃতিগুলো এখনও তাকে আপ্লুত করে।
এ বিষয়ে নাসরিন বলেন, দিলদার ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কের গভীরতা বলে বোঝানো যাবে না। ক্যামেরার সামনে আমাদের সম্পর্ক ছিল প্রেমিক-প্রেমিকার। আর ক্যামেরার পেছনে সেটা বাবা-মেয়ের মতো। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন, আদর করতেন, মেয়ের মতো যত্ন নিতেন। তার কথা খুব মনে পড়ে। এখন বেঁচে থাকলে হয়তো আমার সন্তানদের তিনি দেখতে আসতেন, দোয়া করতেন।
দিলদারের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে গিয়ে নাসরিন বলেন, ‘আমি যখন সিনেমায় কাজ শুরু করি, তখন আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর। এর আগেই আমি বাবা-মাকে হারাই। থাকতাম আত্মীয়ের বাসায়। তখন সকালে না খেয়েই শুটিংয়ে চলে যেতাম। দিলদার ভাই সেটা জানতেন। তাই আমি সেটে গেলেই তিনি আমাকে নাস্তা করাতেন। অনেক সময় নিজের নাস্তাটাও আমাকে খাওয়াতেন।’
১৯৯৪ সালে দিলদারের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করেছেন নাসরিন। কিন্তু তাদের প্রথম সিনেমাটি এখন পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। নাসরিন বলেন, ‘দিলদার ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম সিনেমাটির নাম মনে করতে পারছি না। তবে মনে আছে প্রথম সিনেমা থেকেই তিনি আমাকে কাজ করতে অনেক সাহায্য করেছিলেন। এরপর আমরা প্রায় ৩শ’রও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছি। সবার প্রশংসা পেয়েছি।’