মিরপুরে গুপ্তধনের সন্ধানে বাড়িতে চলছে খননকাজ

মিরপুর : গুপ্তধন আছে এমন গুঞ্জনে রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়িতে খননকাজ চলছে। শনিবার সকাল থেকে ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই খনন কাজ শুরু হয়।

এর আগে গত কয়েকদিন ধরেই মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বরের এই বাড়িটিতে কোটি টাকা মূল্যের গুপ্তধন রয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহম্মেদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ১৯৭১ সালে এই বাড়িটি একটি জল্লাদখানার মতো ছিল। কয়েক দিন আগে এই বাড়ির সেই সময়ের মালিকের একজন আত্মীয় থানায় এসে অভিযোগ করেন। এরপর ওই বাড়ির বর্তমান মালিকের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।’

তিনি বলেন, দু’পক্ষই বাড়িতে গুপ্তধন থাকার কথা জানিয়ে জিডি করায় পুলিশ আদালত ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে বিষয়টি জানায়। এরপর আদালতের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আজ বাড়িটি খনন করা হচ্ছে।

মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাদন ফফির পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, একজন ব্যক্তি নিজেকে ওই বাড়িটির মালিক দাবি করে জানায় এই বাড়িতে গুপ্তধন আছে। এই গুপ্তধন দখল করার পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে থানায় জিডি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে তা দেখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িটির ছয়টি কক্ষের দুইটিতে খনন কাজ চলছে৷ পর্যায়ক্রমে সব কয়টি কক্ষই খনন করে দেখা হবে।

দাদন ফকির বলেন, খননকাজ শেষ হওয়ার পরই জানা যাবে আসল ঘটনা কি! খনন কাজে মিরপুর থানা পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

জানা গেছে, বাড়িটির আগের মালিক ছিলেন একজন পাকিস্তানি। তার দেয়া তথ্যমতে সেখানে গুপ্তধন আছে বলে জানতে পারেন বাড়ির বর্তমান মালিক দাবিদার মনিরুল আলম।

তিনি গত ১৪ জুলাই মিরপুর থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে মাটি খনন শুরু হয়।