সংঘর্ষের পর নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট বন্ধ ঘোষণা

চলমান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ইস্ট ওয়েস্টকে দুইদিন ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনর্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘােষণা দেয় হয়।

ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন জানান, অনিবার্য কারণে আগামী মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) ও বুধবার (০৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মিজানুর রহমান বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এআইইউবিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার বিকেলে অনর্দিষ্টকালের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ ঘোষণা করে।

এর আগে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এআইইউবিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বসুন্ধরা গেট দিয়ে বের হতে চাইলে পুলিশ তাদের গ্রামীণ ফোন (বি ব্লক) কার্যালয়ের সামনে আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও থেমে থেমে গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়ছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরা এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কিছু শিক্ষার্থী নেমেছিল। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারে। এরপর পুলিশ তাদের সরাতে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশও অন্যদিকে অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে রয়েছে।

অন্যদিকে, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে সোমবার (৬ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে জহুরুল হক সিটির সামনে মূল রাস্তায় অবস্থান নেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের ধাওয়ায় ছাত্ররা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে পড়ে।