দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার কয়লা গায়েবের ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট আট কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এর আগে তিন কর্মদিবসে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এসএম নূরুল আওরঙ্গজেবসহ মোট ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। আজকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে কয়লা কেলেঙ্কারিতে মোট ১৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বড়পুকুরিয়ার এক লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা তদন্তে গত ১৩ আগস্ট পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করেছিল দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলমের সই করা পৃথক দুটি চিঠি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর পাঠিয়ে তাদের তলব করা হয়।
আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বড়পুকুরিয়ার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী; উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম; উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান; উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ; ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলীকে।
কয়লা গায়েবের ঘটনায় বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য প্রাক্তন এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে দুদক।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুদ দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক। এরপরই তদন্তের স্বার্থে মামলায় ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার জন্য চিঠি দেয় দুদক।
দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের দলে রয়েছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।