নড়াইলসহ রসরকারি হলো আরও ১২ হাইস্কুল

সরকার আরও ১২টি বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কালাই এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয় এবং আক্কেলপুর এফইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব কে বি পাইলট মডেল হাইস্কুল, মহেশ চন্দ্র মডেল শিক্ষা নিকেতন, নিকলী জি সি পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং হোসেনপুর মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজকেও জাতীয়করণ করা হয়েছে।

এছাড়া রাজশাহীর পুঠিয়া পি এন উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়ার সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, শরীয়তপুরের ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং নড়াইলের কালিয়া পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করা হয়েছে।

২৮ আগস্ট থেকে এই ১২টি বিদ্যালয়ে সরকারি হিসেবে গণ্য হবে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকরা অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন। এরপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৩১৫টি উপজেলায় হাইস্কুল এবং ৩২১টি উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিভিন্ন দফায় ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ এবং ৩০৩টি হাইস্কুল জাতীয়করণের ব্যাপারে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দেন।দারুল ইহসান থেকে পাস করা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত

বন্ধ হয়ে যাওয়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ সিদ্ধান্তের ফলে দারুল বিশ্ববিদ্যালয়টির সনদধারী তিন হাজারের মতো শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখা মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সনদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্যদ বা ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

‘উক্ত সনদের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত সংক্রান্ত সব কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) গ্রহণ করবে।’

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় অফিস আদেশের অনুলিপি মাউশি মহাপরিচালক, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ছাড়াও সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত বেশ কয়েকটি মামলা ও রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সারা দেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্যাম্পাস অবৈধ ঘোষণা করে।

তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পাস করাদের সনদ অবৈধ ঘোষণা করেননি আদালত।

হাইকোর্টের ওই রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়টির সব ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয় সরকার।

ফলে দারুল ইহসানের সনদ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এমপিও নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।