প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত

প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে গোবিন্দগঞ্জে এক বখাটে যুবক স্বর্ণা আক্তার নামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের পগইল গ্রামে। বঘাটে যুবক উজ্জল মিয়া ওই গ্রামের মাইদুল ইসলামের ছেলে। অপরদিকে আহত স্বর্ণা প্রতিবেশী সাজু সরকারের মেয়ে। সে পগইল দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী। আহত স্বর্ণাকে ঘটনার পর পরই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তার ডান হাতের রক্তক্ষরণ বন্ধে ৪টি সেলাই দিতে হয়েছে। পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানায়, বখাটে উজ্জল মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে প্রায়ই স্বর্ণাকে উত্যক্ত করতো। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো এবং অশ্লীল ইঙ্গিত করতো। কিন্তু স্বর্ণা উজ্জলের আহবানে সাড়া দেয়নি। এতে উজ্জল ক্ষেপে গিয়ে স্বর্ণার মোবাইল ফোনে অশালীন ইঙ্গিত করে ম্যাসেজ দেয়া শুরু করে। এতোদিন উজ্জলের হুমকির মুখে বিষয়টি কাউকে না জানালেও এবার স্বর্ণা তার মা আফরোজা বেগমকে বিষয়টি জানায়। তখন আফরোজা বেগম মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে বিষয়টি উজ্জলের বাবা মাকে অবগত করে।

এতে বখাটে উজ্জল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং রাত সোয়া ১২টার দিকে সে একটি ধারালো ছুরি হাতে নিয়ে স্বর্ণাকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে তার বাড়ির দিকে ছুটে যায়। অত্যাধিক গরমের কারণে স্বর্ণা অন্যান্য দিনের মতো তার শোয়ার ঘরের জানালার উপরের পার্ট খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। উজ্জল জানালার উপরের খোলা অংশ দিয়ে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে নীচের পাটর্টা খুলে ফেলে স্বর্ণাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে ছুরিটি গলা বা মুখে না লেগে স্বর্ণার ডান হাতে লেগে গুরুতর জখম হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো: শফিকুজ্জামান জানান, এব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উজ্জলকে গ্রেফতারের তৎপরতার শুরু করা হয়েছে।