নেপালের কাছে হেরে সাফ শেষ বাংলাদেশের

টানা দুই ম্যাচ জিতেও সেমি ফাইনাল নিশ্চিত নয়। আগের দিন এনিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। দুই ম্যাচ শেষে গ্রুপের শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশ বিদায় নিলে সেটি যে মেনে নেয়ার মতো হবে না বলেছিলেন এটিও। কিন্তু জেমি ডে’র প্রকাশ করা সেই বিস্ময়টাই বাস্তবে পরিণত হলো।

শনিবার নেপালের বিপক্ষে ন্যূনতম ড্র করলেই গ্রুপ সেরা হয়ে সেমি ফাইনালে চলে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল স্বাগতিকরা।

‘এ’ গ্রুপে থেকে বাংলাদেশের সমান দুটি করে ম্যাচ জিতেও গোল গড়ে এগিয়ে থেকে সেমিতে চলে গেল নেপাল ও পাকিস্তান।

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কেউ কেউ নিথর হয়ে পড়ে রইলেন মাঠে। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ও মামুনুল ইসলাম তো ঘটালেন খেলার ‘স্পিরিট-বিরোধী’ কাজ। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে দক্ষিণ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ বার পোস্টের দুই পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন দুজন। নেপাল খেলোয়াড়রা নিথর পড়ে থাকা একেক জনের কাছে গিয়ে হাত মেলালেন।

অন্যরা নিথর পড়ে থাকলেও গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল পোস্টের নিচে দাড়িয়ে রইলেন। যেন আরেকবার খেলা শুরু হবে। দর্শকরা কষ্টের মাঝেও কি তা দেখে মুচকি হাসলেন? এই শহীদুলের ভুলেই সাফের সেমি ফাইনালের স্বপ্ন মাটি হলো বাংলাদেশের। টানা চার সাফে বাংলাদেশে পারল না সেমি ফাইনালে যেতে।

স্বাগতিক দর্শকরদের প্রবল সমর্থনকে পুঁজি করে দুর্দান্ত শুরু করা বাংলাদেশ স্রোতের বিপরীতে ৩৩ মিনিটে গোল হজম করে। বিলম ঘারটির ফ্রি-কিক এমন কিছুই ছিল না। কিন্তু জাতীয় দলের গোলরক্ষক হয়েও সেটি ধরতে পারলেন না শহীদুল।

শহীদুলের ওই ভুলের পরই আত্মিবিশ্বাসে চিড় ধরে বাংলাদেশের। এলোমেলো হয়ে পড়ে লাল-সবুজের মাঠের ফুটবল। বিপরীতে নেপাল দ্বিতীয়ার্ধে গুছিয়ে উঠে আরও। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে যাদের আসর শুরু সেই নেপাল কিনা এখন সাফের সেমি ফাইনালে।

খেলার শেষ মিনিটে নবযুগ শ্রেষ্ঠা গোল করে ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন নেপালের। ব্যবধান কি আরো বেশি হতে পারতো? ৮১ মিনিটে নেপালের একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে।

আর বাংলাদেশ? শহীদুলে ওই ভুলের পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর শক্তি যে তারা হারিয়ে ফেলেছিল।