আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন পাঁচ বছর। সেই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারেননি তিন বছর। ফিক্সিংয়ের কালো থাবায় জড়িয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট অহঙ্কার। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে আশরাফুল নতুন জীবনের অপেক্ষায়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া এই ক্রিকেটারের সামনে যখন ফিটনেস বড় প্রশ্ন তখন তিনি তার উত্তর দিতেও প্রস্তুত।
গতকাল মিরপুরে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগের ক্রিকেটাররা। যেখানে বিপ টেস্টে সবাইকে ছাড়িয়ে তুলে নিয়েছেন ১১.৪ পয়েন্ট। জাতীয় দলের ফিটনেস পরীক্ষায় মেহেদী হাসান মিরাজ তুলেছিলেন সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) দিয়ে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম।
প্রথম বারের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেস পরীক্ষার প্রথা চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বুধবার মিরপুরে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগের ক্রিকেটাররা। যেখানে আশরাফুল রেখেছেন দারুণ ফিটনেসের প্রমাণ। ফিটনেস ফিরে পেতে কি করেছেন আশরাফুল!
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত তিন মাস ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, এনসিএলে প্রথম ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ফিট থাকতে চেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে আমার ফিটনেস লেভেলটা যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের হয় তাও চাই। ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, অধিনায়কত্বও করেছি। আমি জানি আসলে কোন লেভেলে যেতে হয়। সেজন্য মানসিকভাবে আপনাকে অনেক শক্তিশালী হতে হয়, শারীরিক ট্রেনিংও করতে হয়। এই বিপ টেস্টে ১১.৪ পাওয়া বা এর জন্য গত আড়াই মাস ট্রেনিং করেছি। সেটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ঢাকা মেট্রোর ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৪ পয়েন্ট তুলেছেন আশরাফুলই। ২০ মিটারের শাটল রানিংয়ের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় বিপ টেস্টের ফলাফল। ফিটনেসে আশরাফুলের উন্নতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্রেনারও। আশরাফুল যে নিজেকে ফিরে পেতে কতটা মরিয়া তা জানা যায় তার কঠোর পরিশ্রমের কথা থেকেই।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে গেলে, গত আড়াই মাসে ভাত পরিমাণে খুবই কম খেয়েছি, একদম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি বলতে পারেন। ডায়েট তো অবশ্যই আছে। সঙ্গে ট্রেনিং করছি। শুধু ডায়েট করলেই হবে- এটা মনে করি না। ফিটনেস যদি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতে হয় তাহলে আমাকে সেই লেভেলে ট্রেনিং করতে হবে। জিম, রানিংয়ের সঙ্গে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে এনেছি। সবজি বা অন্যান্য জিনিস খাচ্ছি- এটা সত্যি, আমি খুবই খাদ্যরসিক মানুষ। খাওয়া পছন্দ করি, কিন্তু এখন আসলে খাওয়াটা বন্ধ করে দিয়েছি।’