এশিয়া কাপের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ

রাত পোহালেই পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের। উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ টাইগারদের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের গত তিন আসরের দুই বারের ফাইনালিস্ট হওয়ায় এবার টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ধরা হচ্ছে বাংলাদেশকেও।

ঘরের মাঠে ২০১২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ফাইনালে হেরে থামতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবারো ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেছে এশিয়া কাপ। মূলত এখনো পর্যন্ত ২০১৬ সালব্যতীত এশিয়া কাপের প্রতিটি আসরই হয়েছে ওয়ানডে ফরম্যাটেই।

ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে এখনো পর্যন্ত ৩৭ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৪টি ম্যাচে। নতুন আসরকে সামনে রেখে চলুন দেখে নেয়া যাক ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে পরিসংখ্যানের পাতায় টাইগার ক্রিকেটারদের অবস্থান:

ব্যাটিং
রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ

১. তামিম ইকবাল: ১২ ম্যাচে ৫১৭ রান, ফিফটি ৬টি, সেঞ্চুরি নেই, সর্বোচ্চ ৭০।

২. মুশফিকুর রহিম: ১৬ ম্যাচে ৩৯৭ রান, ফিফটি ১টি, সেঞ্চুরি ১টি, সর্বোচ্চ ১১৭ রান।

৩. আতহার আলি খান: ১১ ম্যাচে ৩৬৮ রান, ফিফটি ২টি, সেঞ্চুরি নেই, সর্বোচ্চ ৮২।

৪. সাকিব আল হাসান: ৯ ম্যাচে ৩৫৩ রান, ফিফটি ৩টি, সেঞ্চুরি নেই, সর্বোচ্চ ৬৮।

৫. আকরাম খান: ১৩ ম্যাচে ২৪৫ রান, ফিফটি ২টি, সর্বোচ্চ ৬৪।

সর্বোচ্চ রানের জুটির তালিকায় শীর্ষ পাঁচ

১. ইমরুল কায়েস – জুনায়েদ সিদ্দিকী: দ্বিতীয় উইকেটে ১৬০ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ সালে।

২. ইমরুল কায়েস – এনামুল বিজয়: উদ্বোধনী জুটিতে ১৫০ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৪ সালে।

৩. মোহাম্মদ আশরাফুল – রকিবুল হাসান: তৃতীয় উইকেটে ১৪১ রান, আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২০০৮ সালে।

৪. মুশফিকুর রহিম – এনামুল বিজয়: তৃতীয় উইকেটে ১৩৩ রান, ভারতের বিপক্ষে ২০১৪ সালে।

৫. তামিম ইকবাল – জহুরুল ইসলাম: দ্বিতীয় উইকেটে ১১৩ রান, ভারতের বিপক্ষে ২০১২ সালে।

বোলিং
উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষ পাঁচ

১. আব্দুর রাজ্জাক: ১৮ ম্যাচে ২২ উইকেট, ইনিংসে সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট।

২. মাশরাফি বিন মর্তুজা: ১৩ ম্যাচে ১২ উইকেট, ইনিংসে সেরা বোলিং ৩৭ রানে ২ উইকেট।

৩. সাকিব আল হাসান: ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট, ইনিংসে সেরা বোলিং ৩৯ রানে উইকেট।

৪. শাহাদাৎ হোসেন: ৯ ম্যাচে ১০ উইকেট, ইনিংসে সেরা বোলিং ৫৩ রানে ৩ উইকেট।

৫. মোহাম্মদ রফিক: ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট, ইনিংসে সেরা বোলিং ২১ রানে ২ দুই উইকেট।