কেমিক্যাল নিয়ে লুকোচুরির দিন শেষ করে উন্নত বিশ্বের কাস্টমসের সাথে তাল মিলিয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে যুক্ত হলো রমন স্পেকট্রোমিটার যন্ত্র। রবিবার বিকেল ৫ টার সময় বেনাপোল কাস্টমস ক্লাব অভ্যন্তরে আধুনিকায়নের বার্তা নিয়ে এ রমন স্পেকট্রোমিটার যন্ত্রের উদ্বোধন করেন কমিশনার বেলাল হোসেন।
যেকোন রাসায়নিক দ্রব্য এ মেশিনের এক্সরে রেঞ্জের মধ্যে দেওয়া হলে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রাসায়রিক পরীক্ষাসহ পণ্যের জেনেরিক নাম ও গঠন বলে দেয়। প্রায় ১৩ হাজার তরল ও কঠিন পদার্থের পরীক্ষা এ যন্ত্রে তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব বলে জানান কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন।
এসময় বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন বলেন, মাদক উদঘাটনে এ যন্ত্র খুবই কার্যকর। বিশ্বের আইন শৃঙ্খলা, গোয়েন্দা, প্রতিরক্ষা ও সচরাচর কেমিক্যাল সনাক্তকারি বৃহৎ সংস্থাগুলো এ যন্ত্র ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এ যন্ত্রটি এবার বেনাপোলসহ দেশের ৩টি কাস্টমস হাউসে ব্যবহার হবে। এর ফলে আধুনিকায়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
কাস্টমস কমিশনার আরো বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পূর্বে সর্বনিন্ম ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতো। বাংলাদেশ সায়েন্স ল্যাবরেটরী, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য কোথাও পরীক্ষা করতে হলে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় অতিবাহিত হতো। সেসাথে রাসায়নিক পরীক্ষায় থাকত নানা লুকোচুরি। এখন থেকে এ বন্দরের সৎ ব্যবসায়ীরা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে এবং অসৎব্যবসায়ীদের জন্য এ রমন স্পেকট্রোমিটার যন্ত্র হবে সতর্ক বার্তা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন, যুগ্ম কমিশনার শাকিলা পারভীন, শহিদুল ইসলাম, উপ কমিশনার জাকির হোসেন, সহকারি কমিশনার (আই.আর.এম) উত্তম চাকমা, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্জ নাসির উদ্দিন, স্থানীয় সূধীবৃন্দ।