প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা না রাখার সুপারিশ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড চাকরির ক্ষেত্রে) সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত কমিটি।

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমাও দিয়েছে কমিটি।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান কমিটির নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের যে রায় আছে তা কোটা সংস্কার বা বাতিলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আইন কর্মকর্তারা মত দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটা নিয়ে রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ সাবমিট করে দিয়েছি। আমাদের ফাইন্ডিংস হল- ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যে প্রাথমিক নিয়োগ হয়, সে নিয়োগে কোনো কোটা থাকবে না, কোনো কোটাই থাকবে না।

অর্থাৎ কমিটির এ সুপারিশ সরকারের অনুমোদন পেলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো আর ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটায় সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না।

তিনি আরও বলেন, তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে আগামী মাসেই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জোরালো আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে গত ১১ এপ্রিল সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমিটি সুপারিশ করলেও চাকরিতে কোটা রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সরকার সিদ্ধান্ত জানালেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করবে।