অভয়নগরে সহকারি শিক্ষাকর্মকর্তা আসাদুজ্জানের আচারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর সভার বিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) আসাদুজ্জামানের অসদ আচারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কর্মরত শিক্ষকরা। ওদিকে তার অধীনে কর্মরত স্ত্রী ও নিকট আত্মীয়রা অনিয়ম করলেও তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শণ করতে যেয়ে শিক্ষকদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন। বুধবার বিদ্যালয় চলাকালিন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানের সাথে অসদ আচরণ করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

কয়েক মাস আগে মোয়াল্লেম তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক চিন্ময় মন্ডলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি আমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তসত্ত্বা সহকারি শিক্ষিকা শাহিনা বেগমকে প্রশিক্ষণে যেতে বাধ্য করেন। এতে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।

কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অনেক চেষ্টায় শহিনা গর্ভে ওই সন্তান ধারণ করেছিলেন। সেই সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।

ওই শিক্ষা কর্মকর্তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার তার অধিনে পূর্ব বুইকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ওই প্রধান শিক্ষক সময়মতো বিদ্যায়য়ে আসেন না। বিদ্যালয় চলাকলিন ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়ে যান। তিনি স্বামীর দাপটে সহকারি শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ ছাড়া একতারপুর ও রাজঘাট স্কুলে তার দুই জন নিকট আত্মীয় সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরতরয়েছেন তারা বিদ্যালয় চলাকালিন বাজারে ঘুরে বেড়ান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জন শিক্ষক বলেন, শিক্ষাকর্মকর্তার আত্মীয়রা শত অনিয়ম করলেও তাদের কিছু বলেন না।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে ওই শিক্ষাকর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমি কাজ আদায়ের জন্য ওদের সাথে একটু খারাপ আচরণ করতে পারি। এতে দোষের কিছু না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সরদার বলেন, তার বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক মৌখিক অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বিধি সম্মত হবে না। তিনি আরো বলেন, আসাদুজ্জামানের শ্বশুর বাড়ি এলাকায় হওয়ার সুবাদে তিনি এত দাপট দেখান।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, ওই শিক্ষকের বিষয় সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় আমি ব্যবস্থা নিতে পারছি না।