পাকস্থলীতে থাকা বীজ থেকে ডুমুর গাছ

৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে নিহত এক ব্যক্তির মরদেহের হদিশ দিল একটি ডুমুর গাছ। এমনই অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে সাইপ্রাসে। আসলে এক গবেষকের কৌতুহলের কারণেই নিহত ওই ব্যক্তির মরদেহের সন্ধান মিলেছে।

যে এলাকায় মরদেহটি পাওয়া গেছে সেখানে ডুমুর গাছ থাকাটা একেবারেই অস্বাভাবিক। এটা দেখেই কৌতুহলবশত মাটি খুঁড়তে গিয়েই পাওয়া গিয়েছে মরদেহটি। যার মরদেহ পাওয়া গেছে তার নাম আহমেদ হেরগুইন।

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই ডুমুর খেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তার পাকস্থলীতে থাকা বীজই পরে অঙ্কুরিত হয় এবং কালক্রমে সেখানে গজিয়ে ওঠে ওই ডুমুর গাছ।

পার্বত্য ওই এলাকায় ডুমুর গাছ দেখে এক গবেষক খননের কাজ শুরু করেন। দেখতে পান একটি মৃত মানুষের শরীর থেকে গাছটি বেরিয়েছে। এই ঘটনায় চমকে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। পুলিশ ওই এলাকা থেকে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে।

হেরগুইন ১৯৭৪ সালে দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মারা গিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজন তার দেহের সন্ধান করেও পাননি।

হেরগুইন ও আরও দু’জনকে পাহাড়ের গুহায় আটকে রেখে ডিনামাইট ফাটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিনামাইট বিস্ফোরণের ফলে অন্ধকারগুহায় ফাটল ধরে যায়। সেই ফাটল দিয়েই সূর্যের আলো গাছটিকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে।