বাঘারপাড়ায় টিএস আইয়ুবসহ জামায়াত-বিএনপি’র ৫৯ জনের নামে মামলা

যশোরের বাঘারপাড়ায় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও বিষ্ফোরক আইনে বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবসহ জামায়াত-বিএনপির ৫৯ জন নেতা কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৭০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা বিরবণে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে বাঘারপাড়ার যশোর-মাগুরা সড়কের পাঠান পাইকপাড়া চিত্রা মডেল কলেজ মাঠে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষূর্ণ করার চেষ্টায় সরকারী কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিষ্ফোরক সরঞ্জামাদী নিয়ে সংঘবন্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করায় এই মামলা হয়েছে।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) এসআই শাহ আলম বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন-(১) বাঘারপাড়ার উপজেলার সিলুমপুর গ্রামের আলী আহম্মদের পুত্র অহেদ আলী, (২) কয়ালখালীর হাজী আঃ বারী বিশ্বাসের পুত্র ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, (৩) উত্তর চাঁদপুরের আলতাফ হোসেনের পুত্র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, (৪) পুকুরিয়ার মুছাদ্দী বিশ্বাসের পুত্র আবু তালেব, (৫) উত্তর চাঁদপুরের জনাব তরফদারের পুত্র কামরুজ্জামান, (৬) নরসিংহপুরের দলিল বিশ্বাসের পুত্র ফিরোজ, (৭) লুৎফরের পুত্র শহিদুল, (৮) হুলিহট্ট গ্রামের নওশের বিশ্বাসের পুত্র রবিউল, (৯) হোসেনের পুত্র আব্দুল কাদের, (১০) বেতালপাড়ার শহিদুল্লার পুত্র মশিয়ার, (১১) ইসমাইল শেখের পুত্র হাসান, (১২) জহুরপুরের আব্দুর রাজ্জাক রাজার পুত্র আব্দুল্লাহ, (১৩) মশিয়ার কাজীর পুত্র শিমুল কাজী, (১৪) মাঝিয়ালীর আবুল মোল্যার পুত্র আনিছুর রহমান খোকন, (১৫) বালিয়াগড়ের লাল কাজীর পুত্র ছবির হোসেন, (১৬) উত্তর চাঁদপুরের হাশেমের পুত্র আঃ রশিদ, (১৭) ছোট খুদড়ার শফিউল্লাহ মাষ্টারের পুত্র বাকী বিল্লাহ, (১৮) আলী বক্সোর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক, (১৯) গাইদঘাটের তবিবারের পুত্র মনিরুজ্জামান তপন, (২০) কেশপুরের হাসান আলীর পুত্র টিটো, (২১) সেকেন্দারপুরের আফছারের পুত্র মুরগী আনিছ, (২২) তেলীধান্যপুড়ার অলিয়ার রহমানের পুত্র আলমগীর, (২৩) বড়খুদড়ার মুশফিকের পুত্র মেহের আলী, (২৪) কেষ্টপুরের এলেম মোল্যার পুত্র হবিবার রহমান, (২৫) তেলীধান্যপুড়ার মমিন মোল্যার পুত্র মোর্শারফ, (২৬) পার্বতীপুরের মাষ্টার হাফিজুরের পুত্র জুবায়ের, (২৭) মির্জাপুরের সহাতাফের পুত্র আনোয়ার হোসেন ভূট্টো, (২৮) পাঠান পাইকপাড়ার মসলেম খানের পুত্র শাহিন, (২৯) সামাদ খানের পুত্র সদর খান, (৩০) কঠুরাকান্দি গ্রামের রহমান শিকদারের ছেলে রাজু শিকদার, (৩১) বন্দবিলার মুজিবরের পুত্র শহিদুল, (৩২) নলডাঙ্গার ইকতার মোল্যার ছেলে আমিনুর, (৩৩) কৃষ্ণনগরের কওছার মোল্যার পুত্র মঈন উদ্দিন, (৩৪) রব্বানী শেখের পুত্র ইদ্রিস শেখ, (৩৫) রায়পুরের আব্দুল আজিজের পুত্র শাহিন, (৩৬) নলডাঙ্গার নেছারের পুত্র ঈসা, (৩৭) পিকুল, (৩৮) দূর্গাপুরের শফি মোল্যার পুত্র বাবলু, (৩৯) শেকেরবাতানের সিরাজুলের পুত্র মনির, (৪০) ফুল মিয়ার পুত্র আবুজার, (৪১) রামকৃষ্ণপুরের কাশেমের পুত্র নজরুল, (৪২) সিলুমপুরের আবুল কাজী পুত্র মিরাজুল, (৪৩) দয়া রামপুরের শমছের মাষ্টারের পুত্র শরাফাত মাষ্টার, (৪৪) পশ্চিমা গ্রামের সোলাইমানের পুত্র হাফিজুর বিশ্বাস, (৪৫) শামছুর বিশ্বাসের পুত্র তুহিন, (৪৬) দয়া রামপুরের জব্বারের পুত্র আবু সাঈদ, (৪৭) আব্বাসের পুত্র হাসান, (৪৮) জামানের পুত্র ইব্রাহীম, (৪৯) জয়পুরের ছবেদের পুত্র আবুল বাশার, (৫০) ধুপখালীর মোজাম্মেলের পুত্র কামরুল, (৫১) নারিকেলবাড়ীয়ার ওয়াদুদের পুত্র রফিকুল, (৫২) নুরুলের পুত্র শহিদুল, (৫৩) পাঁচবাড়ীয়ার মুন্তাজের পুত্র সিদ্দিক, (৫৪) ক্ষেত্রপালার ইউসুফের পুত্র মিজানুর, (৫৫) তোতা সর্দারের পুত্র আশরাফুল, (৫৬) ফুল মিয়ার পুত্র শামীম, (৫৭) খানপুরের সবদেলের পুত্র নজরুল, (৫৮) ধুপখালীর হাসেমের পুত্র মমিন, (৫৯) মালঞ্চী গ্রামের দুদু সর্দারের পুত্র হারুনসহ অজ্ঞাতনামা ১৭০ জনের নামে মামলা হয়েছে।