অমিতাভ এবং আমিরকে মুম্বাই পুলিশের সতর্কতা

‘তাদের মুলুকে থাগদের কোন জায়গা নেই’ অমিতাভ বচ্চন ও আমির খানকে এমনই বার্তা দিলেন মুম্বাই পুলিশ। এমন কথায় শোরগোল পড়ে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এতে কিছু যায়-আসে না আমিরের। বরং মুম্বাই পুলিশের এই নির্দেশ হাসি মুখে মেনে নিয়েছেন তারা। এমনকি মুম্বাই পুলিশের এই টুইটের উত্তর দিয়েছেন দুই সুপারস্টার। যেমন আমির জানিয়েছেন, যে মুম্বাই পুলিশ নিজেদের কাজে যথেষ্টই তুখোড়। তাই তো সবার ভরসা তাদের উপর। অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চন মুম্বাই পুলিশের কাজকে সম্মান জানিয়েছেন।

কলকাতা২৪ পত্রিকার খবরে বলা হয়, আসলে গোটা বিষয়টার কেন্দ্রে ‘থাগস অফ হিন্দুস্থান’। এই ছবির একটি ডায়ালগকে নিয়ে একটি টুইট পোস্ট করেছে মুম্বাই পুলিশের একটি শাখা। তারা জানায় যে তাদের মুলুকে থাগদের কোনো জায়গা নেই । নিজেদের দায়িত্বে তারা সর্বদাই সজাগ। তাই তো এমন কোনো থাগবাজ বা জোচ্চরদের নিজেদের রাজ্যের বাইরেই রাখতে সক্ষম তারা।

একজনের স্বভাব প্রতারণা আরেকজনের সততা। সেই থেকেই তৈরি হয়েছে লড়াই ময়দান। খুদাবক্সের সঙ্গে ফিরাঙ্গির মুখোমুখি সংঘর্ষের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। তবে খুদাবাক্সের তলোয়ারের এক কোপে হার মানবে ফিরাঙ্গি? এমনটাই বলছে ‘থাগস অফ হিন্দুস্তান’ এর ট্রেলার। এরই মাঝে উত্তাল সমুদ্র। জ্বলছে জাহাজ। তার মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল চার থাগেরা। মুখে হিংসা আর কঠোরতার ছাপ। কেউ দাঁড়িয়ে তীর-ধনুক নিয়ে, তো কেউ তলোয়ার। এমনই ছিল ‘থাগস অফ হিন্দুস্তান’ এর চিত্র। ভক্তদের অনুমান ছিল ছবির চার চরিত্র অমিতাভ, আমির, ক্যাটরিনা এবং ফাতিমা মিলে একসঙ্গে লড়বে শত্রুদের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে পাশাবদল।

ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়তে দাঁড়িয়ে রইল খুদাবক্স এবং জাফিরা। শত্রুপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে ফিরাঙ্গি। অন্যদিকে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির মালিক জন ক্লাইভকে নিজের শরীরি আবেদনে ভোলাতে সুরাইয়া একাই একশো। বাইজির পরিচয় সেখানে থাকলেও সুরাইয়াও একজন থাগ। খুদাবক্সকে আজাদ বলেই চেনে শত্রুদের দল। আজাদের সঙ্গে যুদ্ধে নামতে গেলে তার মতোন শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান যোদ্ধাই চাই। সেই থেকেই খুঁজে বের করা হল ফিরাঙ্গিকে। কে জিতবে অবশেষে? উত্তর লুকিয়ে নভেম্বরের ৮ তারিখে।

ট্রেলার নিয়ে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। যেখানে (আজাদ/ খুদাবাক্স) এর চরিত্রে অমিতাভের লুকে তোলপাড় হচ্ছে নেটদুনিয়া। এই বয়সেও সেই পুরনো হিরোইক আমেজ ধরে রেখেছেন শাহেনশাহ। ছাপিয়ে গিয়েছে (ফিরাঙ্গি) আমির খানকেও। লুক, স্টাইল, স্ক্রিন প্রেজেন্স, কোনও কিছুতেই অমিতাভের সঙ্গে কোনও তুলনাই করা চলে না আমিরের। এমনটা আমির নিজেও মনে করেন। সম্প্রতি ছবির পোস্টার রিলিজ করে আমির লিখেছিলেন, ‘পোস্টারে নিজেকে অমিতাভ বচ্চনের পাশে দেখা, আমার কাছে স্বপ্নের মতো। তাই আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না এটা আমার সঙ্গে হয়েছে।’

আমিরের ‘থাগস অফ হিন্দুস্তান’ নিয়ে সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই ছবিতে প্রথমবার ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে আমিরকে। তাছাড়া ভারতীয় চলচ্চিত্রে ফিকশনের এখনও পর্যন্ত সেরা উদাহরণ ‘বাহুবলী’। দু’টি ভাগে মুক্তি পেয়েছিল রাজামৌলির ছবিটি। আঞ্চলিক সিনেমা হলেও রেকর্ড ব্যবসা করেছিল মাহেশমতি সাম্রাজ্যের কাহিনি। এবার তাকেও টক্কর দিতে চান প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। তাই খরচ যাই হোক, নিজের পিরিয়ড ড্রামাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কোনও আপোস করতে রাজি নন প্রযোজক।

এই সিনেমার জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত দুই জাহাজ। যা প্রায় একবছর ধরে তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, ইউরোপের মাল্টা উপকূলে এই জাহাজ দু’টি তৈরি করার জন্য প্রায় হাজার শ্রমিক এক বছর ধরে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। তৈরি হওয়ার পর দু’টি জাহাজের ওজন হয়েছে দুই লক্ষ কিলোগ্রাম।