রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের

রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫০০ কোটি ডলারের এই চুক্তির ফলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার আরো শক্তিশালী হয়েছে।

শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি করে ভারত।

এদিন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, রাশিয়ার সঙ্গে আরো ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে ভারতের মাটিতে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় আছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে পৌঁছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লিতে মোদির বাসভবন ৭ লোককল্যাণ মার্গের ভবনে দুই রাষ্ট্রনায়কের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাবিশ কুমার টুইট করে বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ।’

দুই বছর ধরে পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাড়িয়ে চলেছিলেন মোদি। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে ভারতের পূর্ণ সদস্য হওয়ার পেছনে রাশিয়ার সাহায্যের হাত ছিল। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এই চুক্তি স্থাপনের লক্ষ্য হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীন ও পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতেই এই চুক্তি। চীন ও পাকিস্তানের মতো জোড়া শক্তিকে মোকাবিলা করতে এই চুক্তি ভারতকে বেশ খানিকটা স্বস্তি দেবে। এই চুক্তির ফলে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে আসবে ‘অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’।

এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, শত্রুপক্ষের পরমাণু বোমা বহনকারী যুদ্ধবিমান, গোয়েন্দা বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন শুধু শনাক্ত করতেই পারে না; ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় সেগুলো ধ্বংসও করতে পারে। ২০০৭ সাল থেকেই এই অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনা।