নানার বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ তনুশ্রীর

ভারতীয় টেলিভিশন ‘নিউজ১৮-কে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রভাবশালী অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে যৌন হেনস্তার মৌখিক অভিযোগ করেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। বলেন, ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হর্ন ওকে প্লিজেস’ ছবির শুটিং সেটেই নানা তার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেছিলেন।

তনুশ্রীর করা সেই অভিযোগকে ‘ঝুট’ বলে উড়িয়ে দেন নানা। উল্টো গত সোমবারে আইনজীবীর মাধ্যমে তনুশ্রীকে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। সেখানে ‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত অভিনেত্রীকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্রী নন তনুশ্রীও। তিনি তো ক্ষমা চাননি বরং শনিবার মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানায় গিয়ে নানার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলিউডের প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠার যৌন হেনস্তার অভিযোগের বিপক্ষে শনিবারই নীরবতা ভাঙেন অভিনেতা নানা পাটেকর। সাবেক মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘জো ঝুঠ হ্যায়, উও ঝুঠ হি হ্যায়।’ অর্থাৎ বাংলায় যার অর্থ দাড়ায়, ‘যা মিথ্যা, তা তো মিথ্যাই।’

নানার এমন বক্তব্যের পর দেরি না করে ওইদিনই থানায় অভিযোগ করেন তনুশ্রী। আইনের দারস্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এমন তো নয় যে, হঠাৎ করেই আমি নীরবতা ভেঙে বেরিয়ে এলাম। ২০০৮ সালে এই ঘটনার পর থেকেই ন্যায় বিচার পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এ জন্যই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী তনুশ্রী এর আগে যৌন হেনস্তার প্রসঙ্গ তুলে নানা পাটেকরের দোসর হিসেবে কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য, পরিচালক রাকেশ সারাং এবং প্রযোজক সামি সিদ্দিকীর নামও জুড়ে দেন। তিনি আঙুল তোলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দিকেও। যার কারণে নানার সঙ্গে বিবেকও একইদিনে তনুশ্রীকে আইনি নোটিশ পাঠান।