২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৭.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস আইএমএফের

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.১ শতাংশ। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ায় আইএমএফ তাদের সর্বশেষ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ নিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএমএফ’র ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক (অক্টোবর ২০১৮) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.৪ শতাংশ। আর এই বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে ভোক্তামূল্য ৫.৮ শতাংশ ও পরের বছর তা ৬.১ শতাংশতে পৌঁছাতে পারে।

আইএমএফ’র প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত ২ অক্টোবরের পূর্বাভাসের কাছাকাছি। বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছিল ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। তবে আইএমএফের পূর্বাভাস এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রাক্কলনের চেয়ে কম। এডিবির পূর্বাভাসে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির করা হয়েছে। আর সরকার এই অর্থবছরে ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধে কারণে বিশ্বকে দরিদ্র ও আরও বেশি বিপজ্জনক স্থানে পরিণত পারে বলে সতর্ক করেছে আইএমএফ। একই সঙ্গে তারা চলতি ও পরবর্তী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কম হতে পারে বলে পূর্বাভাস জানিয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.৭ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে জুলাই মাসে এই দুই বছরের জন্য ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চূড়ান্ত রূপে পৌঁছালে তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বড় বাধা সৃষ্টি করবে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ মৌরিস ওবস্টেফেল্ড জানান, বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে বাণিজ্য, গৃহস্থালী থেকে শুরু করে ব্যাপৃত অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। বাণিজ্যনীতিতে রাজনীতির প্রতিফলন ঘটে, বিশ্বের অনেক দেশের রাজনীতি স্থিতিশীল নয়। যা বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

IMP (report)