নিভে যেতে বসেছে অভয়নগরের হতদরিদ্র রুণা বেগমের জীবন প্রদীপ

দিনমজুর রিপন হোসেনের স্ত্রী রুণা বেগমের (২৯) হার্টের একটি ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। দপ করে নিভে যাতে পারে তার জীবন প্রদীপ। হার্টের একটি ভাল্ব সংযোজন করতে প্রায় তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।

রুণা বেগম যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল হামিদের কণ্যা। এগার বছর আগে তার বিয়ে হয় নড়াইল সদর উপজেলার চাকই গ্রামের দিনমজুর রিপন হোসেনের সাথে। রিপন হোসেনের ভিটে বাড়িতে মাত্র বার শতক জমি আছে। সে বর্গা চাষ করে ও পরের ক্ষেতে মজুর খেটে পরিবারে বেশ সচ্ছলতা এনেছে। কারো দারস্ত হতে হয় না তার। তাদের ঔরাসে জন্ম নিয়েছে জুঁই (১০), কেয়া(৩) ও ছয় মাস বয়সী মারিয়া নামে তিনটি কণ্যা সন্তান।

রিপন হোসেন জানান, ছোট মেয়ে মরিয়ার জন্মের সময় রুণা’র শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। তাকে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার রক্ষ স্বল্পতার জন্য শরীরে রক্ত দেওয়া হয়। রক্ত দেওয়ার পর তার রক্ত বমি শুরু হয়। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে অস্ত্রপেচার না করে স্বাভাবিক ভাবে তার বাচ্চা প্রসাব করানো হয়। পরে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ধরা পড়ে তার হার্টের বাম পাশের ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে ভাল্ব সংযোজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হার্ট বিশেষজ্ঞ ডা. পরিতোষ কুমার রায় জানান, রুণার হার্টে কৃত্রিম ভাল্ব স্থাপন করলে সে ভাল হয়ে যাবে। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় তিন লাখ টাকা।

রুণা বেগমের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য গত শুক্রবার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩ নং ধোপাদী ওয়ার্ড কাউন্সিলের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান মোতালিব হোসেন ফারাজীর ০১৭২৫২২৩৯৩৯ নং বিকাশ এ্যাকাউন্টে আর্থিক অনুদান গ্রহণ করা হচ্ছে। রুণা বেগমের চিকিৎসায় সহায্যের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার প্রতিবেশিরা।