প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়েছে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতার সূচকে বাংলাদেশ আগের বছরের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। তবে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে পয়েন্ট।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির গবেষকরা মনে করছেন, সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজেদের ধীরগতি ও অন্যান্য দেশগুলোর এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহার কারণে এমনটা হয়েছে।

বিশ্বের ১৪০ টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বংলাদেশের অবস্থান ১০৩। যা গতবছর ১৩৫ দেশের মধ্যে ছিল ১০২ নম্বরে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডির গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রতিবেদনটি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এসময় তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম- ডব্লিউইএফ বা বিশ্ব প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচক ২০১৮ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ তালিকায় সুইজারল্যান্ডকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সিঙ্গাপুর ও জার্মানি রয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।

শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য দেশগুলো হলো যথাক্রমে- সুইজারল্যান্ড, জাপান, নেদারল্যান্ড, হংকং, যুক্তরাজ্য, সুইডেন ও ডেনমার্ক। শীর্ষ দশ এর মধ্যে এক ধাপ করে অবনমন নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।

এই সূচকে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে তিন ধাপ পিছিয়ে থাকলেও এগিয়ে আছে ভারত। পাঁচ ধাপ উন্নতি করে ভারতের বর্তমান অবস্থান ৫৮তম।

সূচকে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বলে জানান গবেষক মোয়াজ্জেম। প্রতিবেদন সূত্রে তিনি জানান, ১২টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশের নয়টিতে অবনতি হয়েছে। তবে তিনটিতে উন্নতি করেছে।

সূচকের উন্নতি ঘটাতে দুর্নীতি রোধের পাশাপাশি ছোটবড় সকল প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, শ্রমবাজারের দক্ষতা, বাজারের আকার, ব্যবসায় উন্নতি ও উদ্ভাবন প্রভৃতি বিষয় গুলোর উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক তৈরি করা হয়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।