আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচালের চক্রান্ত করছে ঐক্যফ্রন্ট। সাত দফা মানে সাতটি চক্রান্ত। এই চক্রান্ত হলো নির্বাচনকে বানচালের চক্রান্ত। এটা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারে না। এই ঐক্যফ্রন্টের সামনে হলো ড. কামাল, আর পেছনে হলো বিএনপি’র মূল হোতা মানি লন্ডারিংয়ের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া। বিএনপি নতুন করে চক্রান্ত করার জন্যই ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে।’
বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কহরদরিয়া খ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদীর পানি যেমনি শুকিয়ে যাচ্ছে, তেমনি বিএনপি কু-কর্মের কারণে দিন দিন ভাটির দিকে যাচ্ছে। মরা গাঙে কোনও দিন ঢেউ আসে না। যতই চক্রান্ত করুক না কেন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে দলনেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনিই শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। দলের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান নওফেল, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান কিরণ, যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
সভা শেষে সেতুমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।