ইমরুল-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

লক্ষ্য ২৪৭ রান। তা এক রকম হাতের নাগালেই। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটস দাস। উদ্বোধনীতে চমৎকার একটি জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের পথ দেখান তাঁরাই। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের অসাধারণ দুটি ইনিংসের ওপর ভর করেই এই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য দুজনেই একেবারেই কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন সেঞ্চুরি করতে।

উদ্বোধনীতে নেমে ইমরুল ও লিটন জুটি ১৪৮ রানের দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন। পরে লিটন ৭৭ বলে ৮৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আউট হয়ে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা রাব্বিও (০)। এরপর ইমরুল ৯০ রান করেই আউট হন। এই ইনিংসটি খেলতে তিনি খরচ করেছেন ১১১টি বল, যাতে সাতটি চারের মার রয়েছে।

এর আগে ঢাকায় প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলে দারুণ একটি কীর্তি গড়তে পারতেন তিনি। তা না পারলেও দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ঝুলিটাও সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।

পরে শেষদিকে মুশফিক ৪০ ও মিঠুন ২৪ রানের দুটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সিকান্দার রাজা ৪৩ রানে তিন উইকেট নিয়েও বাংলাদেশের জয়ের পথে বাধা হতে পারেননি।

এর আগে টসে হেরে সফরকারী জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে। সে ধারাবাহিকতায় ৭০ রানে তারা হারায় দুই উইকেট। শুরুর এই ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় ভালোভাবেই এগিয়ে যায় অতিথি দলটি। একপর্যয়ে মনে হয়েছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামে সফরকারী দলটির ইনিংস।

দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা টেইলর এদিন নেমেই বেশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন। খেলেন ৭৩ বলে ৭৫ রানের একটি চমৎকার ইনিংস। যাতে নয়টি চারের মার ও একটি ছক্কা রয়েছে।

এরপর ইউলিয়ামস ৪৭ ও সিকান্দার রাজা ৪৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে এই সংগ্রহের পথ দেখান।

এর আগে ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৪) সাজঘরে ফিরিয়ে শুরুতেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন পেসার সাইফউদ্দিন। এরপর টেইলর ও জুওয়াও জুটি কিছুটা দৃঢ়তা দেখালেও মেহেদী হাসান মিরাজ এই জুটি ভাঙেন। আশা জাগিয়েও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি জুওয়াও (২০)।

অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন এদিন বলহাতে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন। ৪৫ রানে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এ ছাড়া মাশরাফি, মুস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট পান।