বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রে স্থাপিত সৌর প্যানেলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যাচ্ছে হচ্ছে জাতীয় গ্রীডে। পরিবেশ বান্ধব সোলার প্যানেলের উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে জাতীয় গ্রীডে। চিংড়ি ঘেরে সোলার সেড স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে চিংড়ি শিল্প অনন্য ভূমিকা রাখবে।
শনিবার বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্র চিংড়ি ঘেরের মধ্যে সোলার প্যানেল স্থাপন বিষয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানান বক্তারা।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, টেকসই ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এমডি শফিক উদ্দিন, জিআইজেড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. এ্যাঞ্জেলিকা ফ্লেডডারম্যান, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রনজিত কুমার পাল, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা কেন্দ্র, খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুতফার রহমান।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সৌর নেট মিটারিং বিষয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষক ও স্থানীয়দের জন্য মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপডন করেন জিআইজেড-এর টিম লিডার এমডি রিয়াজ উদ্দিন, মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের এইচএম রাকিবুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিন বলেন, ২০১৭ সালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে কেন্দ্রের গবেষনা ও প্রশাসনিক ভবনের ছাদে এবং পুকুর কমপ্লেক্সে ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ¯্রডো ও জিআইজেড-এর অর্থায়নে প্যানেলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমরা নিজেরা ব্যবহার করে অবশিষ্ট বিদ্যুৎ নেট মিটারিং পদ্ধতিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতি যদি দেশের বেশিরভাগ চিংড়ি ঘেরে স্থাপন করা যায় তাহলে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে।
বাগেরহাট ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-র নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ বলেন, চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রে স্থাপিত সৌর প্যানেল থেকে প্রতিদিন গড়ে ১১০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এ বিদ্যুৎ চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রে ব্যবহারের পর অবশিষ্ট বিদ্যুৎ বিশেষ (ইনভার্টার) মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রীয়ভাবে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়। গতকাল এ প্যানেল থেকে ৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে। দেশে এ ধরণের প্যানেল আরও বেশি স্থাপন করা হলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে।