দুই কারণে স্থগিত হলো বিশ্ব ইজতেমা

টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে প্রতিবছর তাবলিগ জামাতের যে বিশ্ব ইজতেমা হয়, এ বছর তা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

পরে ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব এবং আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

এ ছাড়া দুই পক্ষের বিদ্যমান দ্বন্দ্ব নিরসনে তাবলিগ জামাত ও সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যাবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে আনিসুর রহমান বলেন, চলতি বছরের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন ও নির্বাচনী বছর হওয়ায় ইজতেমা নিয়ে করণীয় ঠিক করাই ছিল বৈঠকের উদ্দেশ্য। বৈঠকে দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার ও দুই গ্রুপের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। যারা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভারতে যাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষই নিজেদের পক্ষে বক্তব্য রাখে। একপক্ষ জানায়, মাওলানা সাদ ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যপক্ষের দাবি, মাওলানা সাদ ভুল স্বীকার করেননি। এ কারণে বিষয়টি পরিষ্কার হতে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীরা গত বছর বিশ্ব ইজতেমার পর ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।

অন্যদিকে, সাদবিরোধীরা ও হেফাজতপন্থী কওমি আলেমদের নিয়ে গত ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে। একই সঙ্গে দুই পক্ষই পৃথক তারিখে জেলাভিত্তিক জমায়েতের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। আর এই জমায়েতকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।