যশোর-৬ আসনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বিএনপির

kpur bnp news

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বিএনপি। দীর্ঘদিনের পরাজয়ের কষ্ট মুছে দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় দলটি। দলীয় মনোনয়ন ক্রয় ও জমাদান পরবর্তীতে কে হচ্ছেন ধানের শীর্ষের দলীয় প্রার্থী তা নিয়ে চলছে আলোচনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দীর্ঘ প্রায় দু বছর বন্ধ থাকা যশোরের কেশবপুর থানা বিএনপির অফিস খুলেছে সপ্তাহ এক আগে। অফিস খোলায় পার্টির তৃণমুল নেতা কর্মীদের ভিতর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে আঘাত আনতে হলে শক্ত প্রার্থী ছাড়া বিজয় অসম্ভব হবে বিএনপির। জোটের শরিক ও সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে টানার নানা কৌশল মাথায় রেখেই এগুতে হবে বিএনপিকে। তা না হলে টানা চারবার বিজয়ী আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেশবপুর থানা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও যুবদল নেতা অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি চেয়ারম্যান আবু বকর আবু, পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়ির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির নেতা এ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান তপন।

এদিকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ কেশবপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সহকারি রির্টাানিং অফিসারের নিকট থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন কেশবপুরের জামায়াত নেতা অধ্যাপত মোক্তার আলী। তিনি নাগরিক সমাজের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ও ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থী হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

নবম সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আওয়ামী লীগের শেখ আবদুল ওহাবের কাছে তিনি পরাজিত হন। শুধুমাত্র ১৯৭৯ সালে একবার বিএনপির প্রার্থী গাজী এরশাদ আলী বিজয়ী হন। এরপর আর বিএনপি বিজয়ী হতে পারেনি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এ আসনে জয়লাভ করেন জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। জোটের শরিক জামায়াত ও সংখ্যালঘু ভোটার কাছে টেনে, আওয়ামী লীগের দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপি। সেক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীকে অবশ্যই ব্যক্তি ইমেজে সংখ্যালঘু ভোটার, জোটের শরিক জামায়াত ও আওয়ামী লীগের কোন্দলের দুর্বলতায় আঘাত হানার যোগ্যতা থাকতে হবে এমন প্রার্থী দিতে হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। তেমন প্রার্থী ছাড়া এই আসনে জয় লাভ কঠিন হবে।

৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী গাজী এরশাদ আলী ও জামায়াতের মাওলনা সাখাওয়া হোসেনও ব্যক্তি ইমেজ দিয়ে আওয়ামী লীগের দূর্গে জয় লাভ করেছিলেন দাবি তৃণমূলের। ফলে এবার প্রার্থী বাছাইয়ে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে বিএনপিকে। দলীয় মনোনয়ন ক্রয় ও জমাদান পরবর্তীতে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী তা নিয়ে চায়ের দোকান, রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন হাটবাজারে চলচ্ছে বিশ্লেষন।