নাইজেরিয়ায় উত্তরপূর্বের এক সেনাঘাঁটিতে গত সপ্তাহে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের হামলায় ৪৪ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
রোববার বোর্নো রাজ্যের মিতেলে গ্রামে এ হামলা হলেও কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার হতাহতের কথা স্বীকার করে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সূত্র হামলায় তাদের প্রায় শ’খানেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে।
নিহত সেনা সদস্যদের লাশ আনতে গিয়ে মঙ্গলবারও ফের হামলার শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
অসংখ্য সৈন্য নিখোঁজ থাকায় নিহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উত্তরপূর্বের বোর্নো রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিচ্ছিন্ন একটি গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়। রোববারের হামলাটি আইএসের ওই অংশটিই চালিয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ক্ষমতায় আসার পর এ হামলাকেই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
“বিদ্রোহীরা আমাদের হতবিহ্বল করে দেয়। অস্ত্রসহ পুরো ঘাঁটিটি জ্বলে গেছে; আমরা প্রায় শ’খানেক সৈন্য হারিয়েছে। এটা বিরাট ক্ষতি,” নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন এক সেনা কর্মকর্তা।
হতাহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃহস্পতিবার সিনেটের অধিবেশনও স্থগিত করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ার সরকার ও সেনাবাহিনী বেশিরভাগ সময়ই জঙ্গি হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে না। তবে গত সপ্তাহের হামলার বিষয়ে সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দেবে বলে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জঙ্গি হামলায় কয়েকশ নিরাপত্তা রক্ষী ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।