তিস্তার ভাঙনে দুইশ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে

তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চরে দুইশত একর ফসলি জমি এবং ১০০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষজন।

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তা নদীর কড়াল গ্রাসে চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৭ দিন ধরে ভাঙন তীব্রতা ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে।

অস্বাভাবিকভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকার কারণে আধা পাকা ধান কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। ভাঙনের মুখে অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে এবং আবাদি জমির ফসল অসময়ে কেটে নিচ্ছে। পানির স্তরে নিচে চলে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়ে ব্যাপকহারে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়া পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে কন-কনে ঠান্ডায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। কথা হয় কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুই শতাধিক একর জমি ফসলসহ নদীতে বিলীন হয়েছে। যে হারে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে তাতে করে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সহশ্রাধিক একর জমি নদীতে চলে যাবে।

তিনি বলেন, তারও ৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, স্থায়ীভাবে নদী সংরক্ষণ ও শাসনের ব্যবস্থা না করলে প্রতি বছর এভাবে নদী ভাঙতে থাকবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুনবী সরকার জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২টি ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত পরিবাদের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।