খালেদা জিয়ার আপিলের সিদ্ধান্ত বিকালে

khaleda zia
ফাইল ছবি

প্রার্থিতা ফেরত পেতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি করলেও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেয়নি নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্ব পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার তিনটি পৃথক আপিল একইসঙ্গে শুনানি করে কমিশন। পরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত না দিয়ে ইসি এটিকে পেন্ডিং করে। শনিবার বিকাল ৫টায় আবারও শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে কমিশন থেকে জানানো হয়।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার জমা দেওয়া ফেনী-১ এবং বগুড়া ৬ ও ৭ এই তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ একই হওয়ায় কমিশন একইসঙ্গে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার আপিল জমা দেওয়ার শেষ দিনে খালেদা জিয়া আপিল করেছিলেন। আপিল শুনানির শেষ দিনে শনিবার কমিশন এর শুনানি করে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হয়। তিনি ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার মনোননয়নপত্র গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) ১২’র ১ নম্বর ধরা ধরে বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তারা বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অবৈধ বলে মনে করছেন। আইনজীবীদের দাবি, আরপিও’র ওই ধারায় নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এ ধরনের অপরাধ খালেদা জিয়া করেননি। ফলে এই গ্রাউন্ডে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে না।

প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে মোট ৩০৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে তার মধ্যে ৭৮৬টি মনোনয়ন অবৈধ বলে ঘোষণা করে বাতিল করে দেন। সোমবার থেকে নির্বাচন কমিশন এসব বাতিল মনোনয়নের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ শুরু করে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩ জন আপিল করেন। এসব আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুনানি শুরু হয়। আজ শনিবার আপিল শুনানি শেষ হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনি এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।