যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন : দিনু সভাপতি, মোর্শেদ সম্পাদক

dinu morshed

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার যশোর পৌর পার্কে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সম্মেলনে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বনভোজনে যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিনসহ স্থানীয় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এবং বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১১টায় সংগঠনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফকির শওকত। এ পর্বে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। এরপর সংগঠনের দুই বছর মেয়াদি নতুন কার্যকরি কমিটি গঠনের লক্ষে ফকির শওকতকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়।

jduj newযাচাই বাছাই শেষে সাবজেক্ট কমিটির অন্যতম সদস্য বিএফইউজে’র সহকারি মহাসচিব মহিদুল ইসলাম মন্টু শেখ দিনু আহমেদকে সভাপতি ও দেওয়ান মোর্শেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করলে উপস্থিত সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে তা সর্মথন ও গ্রহন করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি তহীদ মনি, ফরিদুজ্জমান ও বদরুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক বি এম ফারুক ও খাজা ফজিল আইজ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেকুজ্জামান কাকা, কোষাধ্যক্ষ আল মামুন শাওন, দপ্তর সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া শিমুল, নির্বাহী সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ও হুরে জাহান উর্মি।

এছাড়া সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করণে আনোয়ারুল কবির নান্টুকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা হলেন- বদরুদ্দিন বাবুল ও একেএম গোলাম সরওয়ার।

নতুন কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার তুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে ফকির শওকত তার চার দশক সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্মকান্ড থেকে বিদায় গ্রহন করেন। এসময় তাকে যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত ফকির শওকত যশোরের ৩টি সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাসহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের রুটি-রুজি ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছিলেন।