ঝিনাইদহে সড়কের গর্ত মেরামতে খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ, সপ্তাহ না পেরুতেই ভেঙ্গে একাকার

ঝিনাইদহে গত অর্থ বছরে সড়ক ও মহাসড়কের গর্ত মেরামতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থোক বরাদ্ধের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করে এ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ। তবে মেরামতের কাজের সপ্তাহ না পেরুতেই ফিরে আসে আগের অবস্থায়।

জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র গুরুত্বপুর্ণ মহাসড়ক বয়ে গেছে ঝিনাইদহের বুক চিরে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজারা হাজার যানবাহন। বেনাপোল স্থলবন্ধর ও মংলা নৌবন্দরের সকল মালামাল বহন করা হয় এ সড়কগুলো দিয়ে। দীর্ঘদিন ঝিনাইদহের মহাসড়কগুলো মেরামত না করায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এ গর্ত মেরামতের নামে লুটছে লাখ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ যশোর সড়কে বিষয়খালী বাজার নামক স্থানে, তেতুলতলা বাজার নামক স্থানে, শহরের বাইপাস সড়ক থেকে হামদহ পর্যন্ত একদম বেহাল দশা, দোকানঘর নামক স্থান থেকে কালিগঞ্জ প্রথম আলো সড়ক পর্যন্ত বেহাল দশা।

সড়ক বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ঝিনাইদহের উপর দিয়ে যাওয়া ৪ টি মহাসড়ক ও ১১ টি বিভিন্ন সড়কের ভাঙা ও গর্ত মেরামত করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি কোন কোন সড়কের গর্ত মেরামতে কাজ করতে দেখা যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিজস্ব কর্মীদের। গর্ত ঝাড়ু দিয়ে তার উপর পাথর ও পিচ ঢেলে রোলার করলেই কাজ শেষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গর্ত মেরামতের সপ্তাহ না পেরুতেই ফিরে আসে আগের অবস্থানে। অনেক স্থানে ধুলার কারণে ভোগান্তী পেতে হয় পথচারী ও অটো বা ভ্যানচালকদের।

স্থানীয় এক ভ্যান চালক আলমঙ্গীর অভিযোগ করেন, গর্ত মেরামতের সপ্তাহ না পেরুতেই ফিরে আসে আগের অবস্থানে। অনেক স্থানে ধুলার কারণে ভোগান্তী পেতে হয় পথচারী ও অটো বা ভ্যানচালকদের। তাই সরকারি টাকা অপচয় না করে রাস্তাগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে ভালোভাবে মেরামতের দাবি জানান তিনি।

ট্রাক চালক তারিকুল বলেন, প্রতিদিন সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে রাস্তার গর্ত মেরামত করা হচ্ছে। মেরামতের পর পরই ভাড়ী যানবাহন চলাচল করলে মেরামতের স্থান থেকে পিচ ও পাথর উঠে যাচ্ছে। তাহলে এ গর্ত মেরামত করার কি দরকার।

পথচারী আমিন বলেন, সড়কে অযথা অপচয় না করে ভালোভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে সড়ক উন্নয়ন করলে সরকারের কোটি টাকা খরচ হতো না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কগুলোর কয়েকটি স্থানে মেরামত করা হয়েছে। বাকি স্থানগুলোতে দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, তাদের আওতাধীন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ-যশোর-ঝিনাইদহ-মাগুরা ও ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক ও ১১ টি বিভিন্ন রুটে সড়ক রয়েছে ৪’শ ৬ কিলোমিটার।