অভিনেতা টেলিসামাদ আর নেই

চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা টেলিসামাদ আর নেই। স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ শনিবার দুপুরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী রেখা সামাদ।

তিনি মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, গত পরশু দিন শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ দুপুর ২টায় ডাক্তার ফোন করে জানালেন তিনি আর নেই। কয়েকদিন আগেও মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলার সময় টেলিসামাদ বলেছিলেন, আমি ভালো নেই। কেউ আমার খবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ঘরে বসেই সময় কাটছে আমার।

আগামীকাল রোববার জোহর নামাজের পর মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। তার আগে আজ শনিবার সন্ধ্যার পর যেকোনো সময় রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আগামীকাল সকাল ১১টায় তার মরদেহ নেয়া হবে এফডিসিতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেলি সামাদের ছেলে দিগন্ত সামাদ। তিনি জানান, এফডিসি থেকে আমাদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান যোগাযোগ করে হাসপাতালে আসেন। তিনি অনুরোধ করার কারণে আমরা আগামীকাল পর্যন্ত ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে বাবার মরাদেহ রাখব। আগামীকাল এফডিসি থেকে মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই বাবার দাফন সম্পন্ন হবে।

ঢাকাই চলচ্চিত্র, টিভি নাটক এবং মঞ্চের শক্তিমান অভিনেতা টেলিসামাদ ১৯৪৫ সালের ৮ই জানুয়ারি ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী হায়াত পরিচালিত ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। সত্তরের দশক থেকে তাকে পর্দায় দেখেছেন দর্শক। তার অভিনয় দর্শকের মনে দারুণভাবে গেঁথে আছে। নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ১৯৭৩ সালের দিকে ‘কার বৌ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে এই অঙ্গনে পথচলা শুরু তার। তবে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করে তার অভিনীত ‘পায়ে চলার পথ’ ছবিটি। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের বাইরে ৫০টির বেশি ছবিতে তিনি গান করেছেন। অভিনয়ের বাইরে লেখালেখি, গান ও ছবি আঁকার প্রতিও প্রবল ঝোঁক ছিল তার।