মদ ও ট্যাবলেট খেয়ে রাবির দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ru logo

মদপান ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। রবিবার সকালে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

এদিকে এঘটনায় রাজশাহী মহানগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকার ‘স্টার মেডিক্যাল হল’ নামের এক ওষুধের দোকানের মালিক-কর্মচারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে মহানগরীর সকল ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা। তবে দুপুর একটার দিকে কর্মচারীকে ছেড়ে দিলে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ওষুধের দোকান খুলে দেয়।

মৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, রাবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী তুর্য রায় এবং একই সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মুহতাসিম রাফিদ খান তুর্য। এছাড়া অসুস্থ রুয়েট শিক্ষার্থী হলেন, কম্পউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রকি। সে রামেকের ১৭ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে ছাত্রফন্টের সাবেক নেতা সোহরাব বলেন, গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিকে তুর্য রায় আমাকে ফোন দিয়ে অসুস্থতার কথা বলে এবং আমার মেসে আসতে চায়। সে বালিয়াপুকুরের একটি মেসে থাকত। আর আমার মেস হাদীর মোড়ে। রাফিদ তুর্য ও তুর্য রায় আমার মেসে এসে তারা আমাকে শুক্রবার রাতে তাদের ড্রিংকস করার কথা বলে। এরপর আমি তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। আনুমানিক তিনটার দিকে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাদেরকে রামেকে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এদিন সাড়ে ভোর ৫টার দিকে ডাক্তার রাফিদ তুর্যকে মৃত ঘোষণা করে। তখনও তুর্য রায়ের চিকিৎসা চলছিল। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাক্তার তাকেও মৃত ঘোষণা করে।

মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা রামচন্দ্রপুর এনএন ছাত্রবাসে শুক্রবার রাতে মদপান করেন। পরে ওই ছাত্রবাসের যে রুমে তারা মদপান করেছিল সে রুম পরিদর্শন করে পুলিশের একটি তদন্ত দল। এ সময় সেখানে মদের বোতল ছাড়াও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়া যায়। যা কেনা হয়েছিল স্টার মেডিক্যাল হল থেকে। সে কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ফার্মাসীর মালিক ও কর্মচারীসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তবে দুপুর একটার দিকে কর্মচারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা যদি মামলা করে তাহলে মামলা নেওয়া হবে। এছাড়া তারা যে মদ পান করেছে তা বিষক্ত ছিলো কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মদ্যপানে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।