‘সোহেলের পরিবারকে সহযোগিতা করবেন প্রধানমন্ত্রী’

কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি তার পরিবারের উপযুক্ত কেউ থাকলে তাকে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে সোহেল রানার প্রথম জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সোহেল রানার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করবেন। সোহেল তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। তাই তার পরিবারের প্রতি ফায়ার সার্ভিসসহ আমরা সবাই লক্ষ রাখব। যদি তার পরিবারে কেউ উপযুক্ত থাকে তাহলে তার চাকরি দেয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, সোহেল জনগণকে, দেশকে ভালোবাসতেন। তারই প্রমাণ তিনি দিয়ে গেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেছি। প্রথমে তাকে সিএমএইচে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাকে বাচানো গেল না।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যা কেড়ে নেয় ২৬ জনের প্রাণ, আহত হন কমপক্ষে ৭০ জন।

অগ্নিকাণ্ডের পর কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ করছিলেন।

ভবনে আটকে পড়া চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে একসঙ্গে নিচে নামানোর সময় ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল। তাই ল্যাডারের ওজন কমাতে সোহেল নিজেই ল্যাডার বেয়ে নিচে নামছিলেন। তখন ল্যাডারের ওজন কমায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এতে সোহেলের একটি পা ল্যাডারের ভেতরে ঢুকে ভেঙে যায়। এ ছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে।

পরে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহেল।