তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা ভিপি নুরুলের

nurul haque nur
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলে ডাকসু ভিপি নুরুল হকসহ নির্বাচনে জয়ী ছাত্রী ও কয়েকজনের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলা, ডিম নিক্ষেপ ও লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির ওপর আস্থা রেখেছেন ভিপিসহ অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁদের কাছ থেকে সাত দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এস এম হলের ২ এপ্রিলের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের হালনাগাদ তথ্যর জন্য ডাকসু ভিপিসহ কয়েকজন গেলে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তাঁদের কাছ থেকে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করতে সাত দিন সময় চান। এর আগে গত বুধবার উপাচার্যের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে সোমবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন নুরুল হক। গতকাল সোমবার তদন্তপ্রক্রিয়ার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ সময় নুরুলের সঙ্গে ছিলেন এস এম হলের ২ এপ্রিলের ঘটনার ভুক্তভোগী হিসেবে অভিযোগকারী ছাত্র ফেডারেশন থেকে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উম্মে হাবিবা ও স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অরণি সেমন্তি খান। তাঁদের সঙ্গে যান স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চয়ন বড়ুয়া ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী।

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর ভিপি নুরুল হক বলেন, ‘আমরা স্যারের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের আপডেট নিতে গিয়েছিলাম। তদন্তপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে স্যার আমাদের কাছে সাত দিন সময় চেয়েছেন। আমরা রাজি হয়েছি। সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাব।’

এদিকে এস এম হলের ঘটনা তদন্তে বুধবার চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ বলেন, তদন্তের কাজ চলছে। তাঁরা আশা করছেন, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল রাতে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ তুলে এস এম হলের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধর করেন হল সংসদ ও হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরদিন মঙ্গলবার ফরিদকে মারধরের ঘটনার বিচার চেয়ে ওই হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে ডাকসুর ভিপি নুরুল হকসহ অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা মারধরের শিকার ও লাঞ্ছিত হন। তাঁদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অবস্থান করেন তাঁরা। পরে বুধবার সকালে উপাচার্যের আশ্বাসে ওই ঘটনার বিচার করতে সোমবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে তাঁরা ফিরে যান।