আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ মানসিক বৈকল্যে ভুগছে

iftakharujaman tib
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ফাইল ছবি

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ মানসিক বৈকল্যে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মানববন্ধন থেকে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। অপরাধের শিকার পরিবারকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করারও আহ্বান জানায় টিআইবি।

দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাংশ মানসিক বৈকল্যে ভুগছে অভিযোগ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “তাদের অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্থ, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত এবং ব্যাপকভাবে অনিয়মের সাথে জড়িত; তারা অপরাধীর পাশে দাঁড়ায়, অপরাধীকে সুরক্ষা দেয় আর যারা অপরাধের শিকার তাদের শুধু অধিকারই হরণ হয় না, নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে হয়। এভাবে একটা স্বাধীন দেশ চলতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যখন অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে- যখন মানুষ জানবে, অপরাধী জানবে, যে অপরাধ করলে, অপরাধীর সাথে যোগসাজশ থাকলে, অপরাধের সুরক্ষা দিলে শাস্তি পেতে হয়, তখনই কিন্তু আমাদের আর পথে নামতে হবে না। বাস্তবে আইনের শাসন আছে এমন একটা দেশই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্ন।’

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা- নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহামম্মদ রফিকুল হাসান, সিভিক এনগেইজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ফারহানা ফেরদৌস, অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আব্দুল আহাদ, এফসিএমএ এবং আউটরিচ ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম। এছাড়াও টিআইবির সদস্য, টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ইয়ুথ এনগেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, টিআইবি কর্মী ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।