তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠিত

বৈশাখ মাস শুরু পর থেকে তেমন একটা বৃষ্টিপাত হয়নি। উল্টো প্রতিদিনই কয়েক ডিগ্রি করে বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে যশোরসহ সারাদেশের জনজীবনে। দেশব্যাপী বয়ে চলা দাবদাহের কারণে গরমের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে পানির চাহিদা বাড়ায় পানিবাহিত রোগ বাড়ছে। ফলে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সারা দেশের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই দাবদাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরমে পানির চাহিদা বাড়ছে, খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ফলে মানুষ তৃঞ্চা মেটাতে বিশুদ্ধ পানি খাওয়া এবং বাসি খাবার খেতে অনেক সময় বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে ডায়রিয়া বা এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। পানি ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়ায়। গত কয়েকদিন অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বাড়ছে। অনেকেই পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটে বরফ মেশানা আঁখ ও লেবুর রসের বিভিন্ন ধরনের শরবত পান করেন। এগুলো থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত করতে পারে।

এছাড়া গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। অনেক সময় বেখেয়ালে পচা খাবার খাওয়ায় ডায়রিয়া হয়। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার গ্রহণ জরুরি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, আগামীকাল শুক্রবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। এ অবস্থায় সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ মাসের শেষ দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বলেন, নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর সেটি আগামী ৩ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে তার গতিপথ কী হতে পারে, সে-সম্পর্কিত তথ্য নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে পরে হয়তো জানা যাবে।