বুধবার থেকে কমতে পারে ইন্টারনেটের গতি

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে পিছিয়ে যাওয়া প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এর মেরামতের কাজ আগামী ৮ মে থেকে শুরু হচ্ছে।

এর ফলে আগামী ৬ থেকে ৭ দিন ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকরা।

তবে বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বড় ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।

কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ‘সি-মি-উই-৪’ এর তৃতীয় রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজটি এপ্রিল মাসের শেষ দিকে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর অবস্থানের কারণে কাজটি পিছিয়ে যায়।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসসিসিএল জানায়, কাজটি ‘রি-শিডিউল’ করে ৮ মে থেকে শুরু হবে। এর ফলে আগামী ৬ থেকে ৭ দিন সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশে সি-মি-উই-৪ এর ল্যান্ডিং স্টেশন বাংলাদেশে সি-মি-উই-৪ এর ল্যান্ডিং স্টেশন
“রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালে ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন।”

ইতোমধ্যে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন হতে প্রথম রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে বলেও জানায় বিএসসিসিএল।

তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল (সি-মি-উই-৫) এবং আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল) অপারেটরদের সার্কিট চালু থাকায় আন্তর্জাতিক ভয়েস, ডেটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে ‘উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা হবে না, বলেছে বিএসসিসিএল।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ এ যুক্ত হয়।

সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে বিএসসিসিলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আন্তর্জাতিক সার্কিট চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।