কুষ্টিয়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এক যুবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগী হিসেবে তাকে শনাক্ত করেন। কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের এটিই প্রথম ঘটনা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আক্রান্ত রোগীর নাম ইসমাইল হোসেন (২১)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। তাকে জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুই নম্বর পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

একই হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে ইসমাইল হোসেনের মা সালমা খাতুনকেও ভর্তি করা হয়েছে। তিনিও কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তারও ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনার পর চিকিৎসকরা কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা আছে বলে ধারণা করছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত ইসমাইল জানান, তিনি কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার এলাকায় পুরনো আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। একই সঙ্গে বালিয়াপাড়া গ্রামের শাহি মসজিদে ইমামতি করেন। মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকেন তিনি। গত কয়েক মাসের মধ্যে তিনি জেলার বাইরে যাননি। বাড়িতে থাকা অবস্থায় গত নয় দিন আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। জ্বরের মাত্রা বেড়ে গেলে গত রোববার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

হাসপাতালে ইসমাইলের সঙ্গে থাকা তার এক প্রতিবেশী জানান, গত সোমবার শহরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইসমাইলের রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। মঙ্গলবার প্রতিবেদন পেয়ে চিকিৎসক তাকে ডেঙ্গু রোগী হিসেবে শনাক্ত করেন। ইসমাইলের মা সালমা খাতুনও গত তিন দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির জানান, ইসমাইল যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার মায়েরও পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কুষ্টিয়ায় এডিস মশার অস্তিত্ব রয়েছে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় আরও পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু তারা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ায় চলে এসেছেন।

শহরের সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার তরুণ সাহা জানান, চলতি মাসের ১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত তাদের এখানে ১০ জন রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়েছেন। তার মধ্যে চারজন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বাকি ছয়জনের দেহে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া যায়নি।