যশোরের শার্শায় উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় মিলেছে

যশোরের শার্শার গোগা কালিয়ানি থেকে উদ্ধারকৃত লাশটি ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রবাসী নজর আলীর ছেলে নুরুজ্জামান ছোটবাবুর (২৪)।

বুধবার (৩১ জুলায়) বিকেলে ছোটবাবুর মা নুর জাহান লাশ সনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে নুরুজ্জামান ছোটবাবু বাসায় ছিল। কে বা কারা মোবাইল করলে সে ঝিকরগাছা বাজারে আসে। রাতে বাসায় না ফেরায় তার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ কেউ তার সংবাদ দিতে পারেনি।
আজ বুধবার দুপুরে বাগআঁচড়ার পুলিশ গোগা কালিয়ানী থেকে অজ্ঞাত যুবকের (২৪) লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে শুনে তিনি হাসপাতালে আসেন। এসেই তার ছেলের লাশ হিসেবে সনাক্ত করেন।

নুরজাহান বলেন, ‘ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের প্রবাসী নজর আলীর সাথে তার বনিবনা না হওয়ায় ৮ বছর আগে তালাক দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি তার পিতার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে অবস্থান করেন। নজর আলী দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে থাকায় কৃষ্ণনগর গ্রামের জসীম, রাজ্জাক মেম্বর, টোকন (বর্তমানে মৃত)সহ একদল সন্ত্রাসী কয়েকবছর আগে থেকে ৭লাখ টাকা দাবি করে আসছে। এ টাকা না দেয়ায় বড় ছেলে বড় বাবুকে মারপিট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এখনো সে জেলখানায়। ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছে। সেই টাকা না দেয়ায় হয়তো তারা ছোটবাবুকে খুন করেছে।

তিনি আরো বলেন, যশোরে এসে জানতে পেরেছি, মঙ্গলবার বিকেলে ফোন পেয়ে দেবহাটা থেকে ছোটবাবু ঝিকরগাছায় আসলে রাতে কাটাখালী নামক স্থানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। সেখান থেকে শার্শার সীমান্ত গোগা কালিয়ানীতে ফেলে রেখে এসেছে।

ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষ্ণনগর গ্রামের নুরুজ্জামান নামে কোন ব্যক্তি খুন হয়েছে সেটা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার গোগা কালিয়ানি মাঠ থেকে রক্তাক্ত অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকতে দেখে আজ বুধবার সকালে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।