যশোরে গৃহবধূ সালমা খাতুন হত্যা মামলার আসামি স্বামী ফারুক হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোজাডাঙ্গা (দক্ষিণ শ্রীপুর) গ্রামের নুর ইসলাম ওরফে নুরু ঢালীর ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান জানান, ফারুক হোসেন যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার ইকরামুল ইসলাম ইকু চৌধুরীর পুকুরপাড়ে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন।
২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর রাত ১১ টার দিকে সালমা খাতুনের পায়খানা ও বমি হতে থাকে। ফলে তাকে রাতে স্থানীয় চিকিৎসকে দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরদিন সকালে তার বুকে ব্যাথা শুরু হলে দ্রুত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সালমা খাতুনের এই মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের ও পরে লাশের ময়নাতদন্ত করানো হয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সালমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে সালমা খাতুনকে হত্যার জন্য তিনজনকে আসামি করে নিহতের ভাই জাকির হোসেন যশোর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার অপর দু’আসামি হলেন, ফারুক হোসেনের মা ফজিলা বেগম ও ছোট ভাইয়ের শ্যালক তুহিন গাজী। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ফজিলা বেগম ও তুহিন গাজীকে আটক করে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোরে বসবাস করা কালে ফারুকের প্রথম স্ত্রী ১০ বছরের একটি মেয়েকে রেখে একজন মোটর মিস্ত্রির হাত ধরে অজনার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। এ কারণে ৩ বছর আগে তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নোড়ারচক গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর মেয়ে সালমা খাতুনকে (২২) বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি আবার প্রথম স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ জন্য তিনি স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। তুচ্ছ ঘটনায় সালমা খাতুনকে মারধরও করতেন। ঘটনার দিন সালমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। কিন্তু বিষয়টি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন ফারুক।