ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ির চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠির কাজী নজরুল কলেজের পাশ থেকে বুধবার ভোর ৬টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হাসানুজ্জামান জগলু কুষ্টিয়ার সদর উপজৈলার জুগিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম যশোরে চুড়ামনকাঠির কাজী নজরুল কলেজের নিকটে বালির গর্ত থেকে বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোর ৬টায় উদ্ধার করেন।
পারিবারিক কারণে তাকে খুন করা হতে পারে বলে তার সহকর্মীরা ধারণা করেছেন। ঘটনার পর যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইফতেখার আলম ও ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামসুজ্জামান যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসেন।
এসআই মনিরুল ইসলাম জানান স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর মুখে এবং গলায় কস্টেপ লাগানে ছিল। পরবর্তীতে তার সহকর্মীরা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
এলজিইডি যশোরের সহকর্মীরা জানান, জগলু ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জামান এর গাড়িচালক ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া। তিনি ঝিনাইদা ডাকবাংলায় একাকী বসবাস করতেন। তার একমাত্র ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করেন এবং তার স্ত্রী ছেলের সাথে থাকেন। তার স্ত্রী হালিমা হালিমা বেগম জগলুকে তালাক দিয়েছেন। এরপর অন্য আরেক জনকে বিয়ে করে সংসার করার একপর্যায়ে তাকে তালাক দিয়ে ফের জগলুকে বিয়ে করেন। এ সময় জগলু তার সকল সম্পত্তি স্ত্রী হালিমা বেগম নিজের নামে লিখে দেন। পারিবারিক কারণে জগলু খুন হতে পারেন বলে ঝিনেদার সহকর্মীরা দাবি করেন।
সহকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার এশার নামাজ পড়ার জন্য তিনি ডকবাংলো হতে বের হয়ে আসেন। এরপর আর ওই বাংলাতে ফিরে যাননি। রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাকে না পাওয়ায় ঝিনেদহ পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামসুজ্জামান জানান, জগলু মঙ্গলবার অফিসের দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক কারণে তিনি অশান্তিতে ছিলেন এটা সঠিক। তবে কী কারণে এবং কারা এ খুন করেছে তা তিনি জানেন না।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী এবং যশোর কোতয়ালী থানার ওসি (অপারেশন) শেখ তাসনিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।