শার্শায় গৃহবধূকে ধর্ষণ: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন পিবিআই কর্মকর্তারা

jessore map

ঘুষ না পেয়ে আসামির স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা বিভাগীয় পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বে কর্মকর্তারা ভিকটিমের বাড়িতে যান। এসময় তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে সেই সময় ভিকটিম বাড়িতে ছিলেন না।

পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। আসামিদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে।

উল্লেখ্য, যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে গত ২ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ।
ধর্ষিতার অভিযোগ, স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল আলম ও তার সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামারুল তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া লতিফ ও কাদের নামে আরও দুজন তখন ঘরের বাইরে অবস্থান করছিল। ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআয়ের পরিদর্শক শেখ মোনায়েম হোসেনের পাশাপাশি সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পিবিআইয়ের খুলনা বিভাগীয় প্রধান পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়া। এসময় তার সাথে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ষণের ঘটনায় ওই গৃহবধূ ৩ সেপ্টেম্বর রাতে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলায় এসআই খায়রুলের নাম রাখা হয়নি। বাদী ওই গৃহবধূ পরে সাংবাদিকদের জানান, ভয়ে তিনি পুলিশের নাম অর্šÍভূক্ত করেননি। মামলায় আসামি করা হয় শার্শার চটকাপোতা এলাকার কামরুজ্জামান ওরফে কামারুল, লক্ষণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ ও আব্দুল কাদেরকে। একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেনারেল হাসপাতালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন পরিদর্শক শেখ মোনায়েম হোসেন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি নির্যাতিত ওই গৃহবধূ ও মামলা বাদির বাড়ি পরিদর্শন ও জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের সোয়াপ কালেকশন করে ডিএনএ প্রোফাইলের জন্যে সিআইডি হেড কোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে মামলার আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষারও উদ্যোগ নেয়া হয়। এইদিন রাতেই শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমানকে বদলি করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার তিন আসামিকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অপরদিকে, পুলিশের গঠন করা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়ার সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়।