যশোরের বাঘারপাড়ায় অর্ক অধিকারি (৯) নামে এক ছাত্রকে মোবাইল ফোন দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ঐ ছাত্রকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক অরবিন্দু রায়ের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার উপজেলার দোহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অর্ক উপজেলা সদরের পৌর এলাকার দোহাকুলা কলেজ রোডের মিষ্টি বিক্রেতা শচিন অধিকারির ছেলে এবং দোহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১২টার দিকে স্কুল মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় খুদে এই শিক্ষার্থী দুষ্টামি করলে সহকারী শিক্ষিকা লতা অধিকারি তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে রক্তক্ষরন শুরু হয়। এতে স্কুলে হৈ চৈ পড়ে যায়। এ সময় স্কুলের শিক্ষকরা তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার বিষয় জানতে অভিভাবকের সাথে কথা বলতে গেলে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে ও তথ্য দিতে অপারগত প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা লতা অধিকারি বলেন, আমার প্রেসার বেড়েছে। আমি এখন কথা বলতে পারছি না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, অভিভাবকেরা মাফ মুরদ করে দিয়েছে। ঘটনাটা এখানেই শেষ। এ নিয়ে যেন কোন ঝামেলা না।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অসিম দাস বলেন, আমি দেশে ছিলাম না। এ বিষয়টা বিস্তারিত জেনে আপনাকে বলব।
বাঘারপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
